

অ্যান্টিগা টেস্ট শুরুর আগেরদিন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন জয়ের সম্ভাবনা আছে যদি টপ অর্ডার ব্যর্থ না হয়। পাশাপাশি পেসারদের ভালো বল করতে হবে। তবে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে যা করেছে ব্যাটাররা তাতে অধিনায়ক সাকিব ফিফটি না হাঁকালে আরও বড় লজ্জা সঙ্গী হত। প্রথম দিন শেষে টাইগার দলপতি জানিয়েছেন তার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই। ব্যাটারদের কেউ মুখে তুলে খাইয়ে দিবে না উল্লেখ করে দায়িত্ব নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা নিয়ে শুরুতেই হতাশ ছিলেন সাকিব। পরিসংখ্যান দিয়ে নিজেই বুঝিয়েছেন যা হয়ে আসছে তা আদর্শ নয়। কালকের আগে ১৯ ইনিংসের মাঝে ১১ বারই ১০০ রান তুলতে অন্তত ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবার সংখ্যাটা আরও বাড়লো।
টস হেরে গতকাল (১৬ জুন) স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে আরও ভয়াবহ চিত্র। সাকিবের ৫২ ও তামিম ইকবালের ২৯ রানে কোনো মতে ১০০ পেরোনো গেছে। ১০৩ রানে অলআউট হওয়ার পথে ৬ ব্যাটার ফিরেছেন কোনো রান না করে।
জবাবে ২ উইকেটে ৯৫ রান নিয়ে দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৮ রান পিছিয়ে থাকা স্বাগতিকরা আজ দ্বিতীয় দিনে হয়তো চালকের আসনে বসে যেতে পারে।
প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাজে ব্যাটিংয়ের কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সাকিব। তার মতে কেউ পারফর্ম না করলে অধিনায়ক হিসেবে তাকে বাদ দেওয়ার কাজটা সহজ। সুতরাং নিজের জায়গা পরিষ্কার করে টাইগার দলপতি সাফ জানিয়ে দিলেন কাউকে মুখে তুলে খাইয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
তার ভাষ্য,
‘কোনো ভাবে ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগই দেখি না। আমার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই। আমি জানি না অন্য কারো কাছে আছে কি না। সাধারনত যেটা হয় যে, কোচ-অধিনায়কের কাজটা সহজ। ধরুন কেউ পারফর্ম করল না, তাঁকে বাদ দিয়ে দেই। সবচেয়ে সহজ কাজ কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচকদের। তুমি পারফর্ম করছ না, বাদ দিয়ে দিলাম। এখানে আসলে ব্যাটারদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের কাজটা তাদেরই করতে হবে।’
‘কেউ এসে তাদের মুখে তুলে খাইয়ে দিয়ে যাবে না। ব্যর্থ হয়েছে, আশা করি সেকেন্ড ইনিংসে ব্যাটাররা এমনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে যেন আমরা এই ব্যর্থতা থেকে রিকভার করতে পারে। সেই চ্যালেঞ্জটা থাকবে।’