

পেসার হাসান মাহমুদ নিজেকে বেশ দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। চোট কাটিয়ে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় পর জাতীয় দলে ডাক পেয়েও শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাওয়া হচ্ছে না। বোর্ডের ব্যয় সংকোচন লক্ষ্যের অংশ হিসেবে তার বাদ পড়া, এমনটাই গুঞ্জন ছিল। তবে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিশ্চিত করেছেন ব্যয় কমাতে কোনো খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়া হয়নি।
বিসিবির সর্বশেষ বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয় যতটা সম্ভব ব্যয় কমানোর। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নির্বাচক সহ টিম ম্যানেজমেন্টের দুই একজনের যাওয়া হচ্ছে না। পেসার শহিদুল ইসলামের চোটে শেষ মুহূর্তে স্কোয়াডে প্রবেশ করা হাসান মাহমুদেরও যাওয়া হচ্ছে না।
আর এতেই স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গিয়েছে হাসান মাহমুদ সম্ভবত ব্যয় কমানোর মিশনেই আটকে গিয়েছেন। কিন্তু বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন আজ (৮ জুন) বিষয়টি খোলাসা করার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টা এরকম না (খরচ কমাতে হাসানকে পাঠানো হয়নি)। হয়ত দলের মাঝে কোনো পরিবর্তনের কোনো ব্যাপার আসবে। এমন নয় যে কাউকে বাদ দিয়ে ব্যয় সংকোচন করা হচ্ছে, এমন না। (নির্বাচকরা বাদ গেছেন) সেটা একটা বিষয়।
‘কিন্তু আপনি তো খেলোয়াড়ের কথা বলছেন। টিম কম্বিনেশন বা অন্য বিষয়গুলোতে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসলে সেটা হতেই পারে। এমন নয় যে আর্থিক কারণে। এখানে আর্থিক কোনো কারণ জড়িত নেই, আমি সেটাই মনে করি।’
এদিকে বোর্ডের ব্যয় কমিয়ে মূলত অবকাঠামো দিক শক্ত করার দিকেই মনযোগ দেওয়া হচ্ছে। যদিও এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্ল্যান) অনুসারে কোনো সিরিজে প্রভাব পড়বে না বলে নিশ্চিত করেছেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু কার্যক্রম আছে। এর মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন রয়েছে। সেক্ষেত্রে বড় ধরনের পুঁজির প্রয়োজন হবে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে যেহেতু ওরকম উন্নতি নেই, তাই প্রভাব তো পড়ছেই। সব কিছু বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতটুকু সম্ভব ব্যয় সংকোচন করা যায়। তবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি, সেক্ষেত্রে আমাদের এফটিপিতে প্রভাব পড়ছে না।’