

মেহেদী হাসান মিরাজের চোটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সুযোগ পান অফ স্পিনার নাইম হাসান। এক বছর পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েই চট্টগ্রাম টেস্টে নেন ইনিংসে ৬ উইকেট। ঐ টেস্টে চোটে পড়ে ছিটকে যান সিরিজ থেকে, আবার গুনছেন অপেক্ষার প্রহর। তরুণ এই স্পিনার বলছেন চোট ও ফিরে আসার এই চক্রকে বাস্তবতা হিসেবে দেখেন, মেনেও নিচ্ছেন।
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টেই ৫ উইকেট নিয়ে গড়েছেন রেকর্ড। বল হাতে দারুণ পারফর্ম করে সেরা একাদশে মিরাজের জায়গা পাওয়া কঠিন করেন। তবে ২০২০ সালে চোটে পড়ে আবার আড়াল হতে হয় নাইমকে। ফিরে এসে ছন্দ খুঁজে পেতে সময় লাগছিল। ততদিনে ব্যাটে-বলে ধারাবাহিকতা দেখিয়ে জায়গা পোক্ত মিরাজের।
দলের সাথে থেকেও নিয়মিত ম্যাচ পাচ্ছিলেন না, এরপর তো বাদই পড়তে হয় নাইমকে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের মূল স্কোয়াডেও ছিলেন না। সুযোগ মেলে আঙুলের চোটে মিরাজ ছিটকে গেলে। কিন্তু বল হাতে চট্টগ্রামে জ্বলে উঠলেও এবার নিজে চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন নাইম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ফিরেছেন মিরাজও।
এদিকে নাইমের চলছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া, চলতি মাসের ১২-১৫ তারিখে শুরু করতে পারেন বোলিং। আজ (৫ জুন) মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন এই তরুণ।
সেখানেই জবাব দেন মিরাজের সাথে চলমান প্রতিযোগিতায় দলে ফেরা কতটা কঠিন হতে পারে সে প্রশ্নের। নাইমের জানান এসব কিছু না ভেবে নিজের হাতে থাকা পরিশ্রমেই দিচ্ছেন মনযোগ।
‘এখন আমার হাতে আছে শুধু পরিশ্রম করা। চেষ্টা থাকে সবসময় নিজেকে রেডি রাখার। যখনই সুযোগ আসবে চেষ্টা থাকবে শতভাগ এফোর্ট দেওয়ার। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে আবার সুযোগ দিলে আমার চেষ্টা থাকবে নিজের শতভাগ দেওয়ার।’
‘আসলে ওরকম কিছু না (হতাশ নই)। আমিতো বললাম ইনজুরি তো কারও হাতে নেই। এটা বলে কয়ে আসে না। যেটা হয়েছে সেটা মেনে নিতে হবে। বাস্তবতা তো মেনে নিতে হবে।’
চোটে পড়া, ফিরে আসা, আবার চোটে পড়া- এই চক্রে আটকে আছেন ৮ টেস্ট খেলা নাইম। এতোদিনে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া এই স্পিনার কীভাবে নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত রাখেন? তার মতে ক্রীড়াবিদের জীবনে চোট স্বাভাবিক বিষয়। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সময়টায় ভাবেন যেন আরও ভালোভাবে ফিরতে পারেন।
তার ভাষ্য, ‘একজন স্পোর্টস ম্যানের লাইফে তো ইনজুরি আসবেই। ওটা নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না। আমাদের চেষ্টা থাকবে পরে যেন আরও স্ট্রংলি ফিরে আসতে পারি। ঐ সময়গুলো আসলে… (হাসি) ইনজুরি তো আসলে কারও হাতে নেই বললাম। আল্লাহর ইচ্ছে।’