

মুমিনুল হক দায়িত্ব ছাড়ায় আরেক দফা বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক হলেন সাকিব আল হাসান। পরিণত সাকিবের নেতৃত্বে দারুণ কিছু হবে অন্য অনেকের মতো বিশ্বাস ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের। টাইগার অলরাউন্ডারের ক্রিকেটীয় জ্ঞানের প্রশংসাও করেছেন।
এর আগে দুই দফা টেস্ট অধিনায়কত্ব ছিল সাকিবের কাঁধে। ২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা চোটে পড়ায় প্রথম দফায় পেয়েছেন নেতৃত্ব ভার। ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯ টেস্টে দলকে জিতিয়েছেন কেবল এক ম্যাচে। পরের দফা ২০১৮ সালে দায়িত্ব পেয়ে ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করেন ৫ টেস্টে, যেখানে দল পেয়েছে দুই জয়।
সব মিলিয়ে ১৪ টেস্টে ৩ জয়ের বিপরীতে ১১ হার। এবার যখন দায়িত্ব পেলেন তখন ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলা। এখনই দলকে টেনে নেওয়ার সেরা সময় বলছে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। লম্বা সময়ের খেলোয়াড়ী জীবনের অভিজ্ঞতায় এমনিতেই বনে গেছেন ক্ষুরধার ক্রিকেটীয় মস্তিষ্কের অধিকারী।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে টেস্ট কাপ্তান সাকিবের এবারের যাত্রা শুরু হচ্ছে। তার আগে আজ (৫ জুন) মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম।
টেস্ট অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে তার ভাষ্য, ‘আমি ওর অধিনায়কত্বের দুবার খেলেছি (টেস্টে)। কারণ ও দুবার হয়েছে। ২০১১ এবং মাঝখানে শেষ বার যখন ছিল (নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগ পর্যন্ত)। সুতরাং এটা রকেট সায়েন্স না, আমরা সবাই জানি তার খুব ভালো ক্রিকেটীয় জ্ঞান আছে। আমি নিশ্চিত টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করা সহজ না। এই একটা সংস্করণে আমাদের ফলটা খুব বেশি আমাদের পক্ষে আসে না।’
সাকিবকে সময় দেওয়া উচিৎ উল্লেখ করে তামিম যোগ করেন, ‘আমি যখন অধিনায়ক (ওয়ানডে) হয়েছি আমি বলেছি যে আমাকে অনেক সময় দিতে হবে, আমার মনে হয় একই সাকিবের জন্য। তারও লম্বা সময় দরকার। এটা এমন একটি সংস্করণ যেখানে আমরা খুব শক্তিশালীও না, তার নেতৃত্ব দারুণ এবং তার পরিকল্পনা বা সব কিছুই…আমাদের সবার সহযোগিতা ইন শা আল্লাহ থাকলে সম্ভবত ২-৩ বছরের দারুণ একটি টেস্ট দল হবে।’