

লর্ডস টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে চালকের আসনে এখন নিউজিল্যান্ড। প্রথমে পেসারদের কল্যাণে ইংল্যান্ডকে বেশি রানের লিড দিতে দেয়নি তারা। পরবর্তীতে মিডল অর্ডারে ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেলের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ২য় দিন শেষে ২২৭ রানে এগিয়ে আছে সফরকারীরা।
নিউজিল্যান্ডের ১ম ইনিংসে ১৩২ রানের জবাবে ইংল্যান্ড তাদের ১ম ইনিংস শেষ করে ১৪১ রানে। নিউজিল্যান্ডের পেসাররা ম্যাচে ফিরিয়ে আনে তাদের। টিম সাউদি ৪টি, ট্রেন্ট বোল্ট ৩টি, কাইল জেমিসন ২টি এবং বাকি উইকেটটি নেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।
ইংলিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান ওপেনার জ্যাক ক্রলির। অপর ওপেনার অ্যালেক্স লিস করেন ২৫ রান।
৯ রানে পিছিয়ে থেকে ২য় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমেও শুরু থেকে উইকেট হারাতে থাকে ব্ল্যাকক্যাপসরা। ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারায় ধুকছিল তারা। তবে এরপর চিত্রনাট্যে পরিবর্তন আনেন মিচেল ও ব্লান্ডেল।
ইংলিশদের বোলারদের সমীহ করে খেলে দারুণ এক জুটি গড়েন। দিন শেষে ৪ উইকেটে ২৩৬ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। ১৮০ রানের জুটি অবিচ্ছিন্ন আছে।
মিচেল ১৮৮ বলে ১১ চারে ৯৭ ও ব্লান্ডেল ১৮২ বলে ১২ চারে ৯০ রানে অপরাজিত আছেন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ম্যাথু পটস ২টি এবং জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড ১টি করে উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ ২য় দিন শেষে
নিউজিল্যান্ডের ১ম ইনিংস: ১৩২/১০ (৪০), ল্যাথাম ১,ইয়াং ১, উইলিয়ামসন ২, কনওয়ে ৩, মিচেল ১৩, ব্লান্ডেল ১৪, গ্র্যান্ডহোম ৪২*, জেমিসন ৬, সাউদি ২৬, এজাজ ৭, বোল্ট ১৪; অ্যান্ডারসন ১৬-৬-৬৬-৬, ব্রড ১৩-০-৪৫-১, পটস ৯.২-১
৪-১৩-৪, স্টোকস ১.৪-০-৫-১
ইংল্যান্ডের ১ম ইনিংসঃ ১৪১/১০ (৪২.৫), ক্রলি ৪৩, লিস ২৫, পোট ৭, রুট ১১, বেয়ারস্টো ১, স্টোকস ১, ফোকস ৭,পটস ০, ব্রড ৯, অ্যান্ডারসন ৭*, পারকিনসন ৮;
সাউদি ১৪-৩-৫৫-৪, বোল্ট ১৩.৫-৪-২১-৩, জেমিসন ৭-৩-২০-২ গ্র্যান্ডহোম ৮-২-২৪-১
নিউজিল্যান্ডের ২য় ইনিংসঃ ২৩৬/৪ (৭৯), ল্যাথাম ১৪, ইয়াং ১, উইলিয়ামসন ১৫, কনওয়ে ১৩, মিচেল ৯৭*, ব্লান্ডেল ৯০*; অ্যান্ডারসন ১৬-৬-৪৯-১, ব্রড ২১-৬-৪৭-১, পটস ১৯-৩-৫০-২
নিউজিল্যান্ড ২২৭ রানে এগিয়ে।