

সাকিব আল হাসান শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে লাল বল হাতে নিয়েছেন গত বছর ডিসেম্বরে। ৫ মাসের বেশি সময় পর ফেরার যাত্রাটাও সহজ ছিল না। চট্টগ্রাম টেস্টের আগে করোনা পজিটিভ হন, যদিও দিন তিনেকের মাথায় নেগেটিভ হয়ে নিজেই খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। ম্যাচের আগেরদিন দলের সাথে যোগ দিয়ে আধ ঘন্টার অনুশীলনেই নেমে পড়েন ম্যাচে। চট্টগ্রামে বল হাতে ভালো করা সাকিব ঢাকায় আরও দুর্দান্ত, নিয়েছেন ইনিংসে পাঁচ উইকেট। টাইগার অলরাউন্ডার বলছেন ‘ক্যালকুলেটিভ চান্স’ নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর করোনা পজিটিভ হন সাকিব। যে কারণে চট্টগ্রাম টেস্টের স্কোয়াড থেকে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদও দেওয়া হয়। তবে ম্যাচের একদিন আগে নেগেটিভ হয়ে সাকিব নিজেই তারোনা দেখান। যদিও কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেছিল পুরো ফিট সাকিবকেই তারা চান।
ম্যাচের আগেরদিন সাকিব চট্টগ্রামে দলের সাথে মাত্র আধঘন্টার ব্যাটিং অনুশীলন করেন। বোলিং, ফিল্ডিং অনুশীলনে দেখা যায়নি। কিন্তু বল হাতে সাকিব দেখিয়েছেন ঝলক প্রথম ইনিংসে করেছেন ৩৯ ওভার, নিয়েছেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ ওভারে শিকার ১ উইকেট। সবমিলিয়ে ঐ ম্যাচে বল করেন ৬৪ ওভার।
এবার ঢাকা টেস্টে দলের অন্যতম সফল বোলার। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা করে ৫০৬ রান। যে পথে সাকিব ৪০.১ ওভার বল করে নেন ৫ উইকেট, যা তার ক্যারিয়ারের ১৯তম বার।
৩ দিনের বিরতিতে ২ টেস্টে ৩ ইনিংসে ১০৪.১ ওভার বল করা চাট্টিখানি কথা নয়। বিশেষ করে লম্বা সময় লাল বলে হাত না দেওয়া এবং করোনা থেকে উঠে আসা যেখানে হতে পারতো বড় বাঁধা।
ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে আজ (২৬ মে) সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানালেন এই যাত্রার কথা, ‘ম্যাচ ফিট আর শারীরিক ফিট দুইটা দুই ধরণের সংজ্ঞা। অনেকেই আছে ম্যাচে অনেক ওভার টানা বোলিং করতে পারে ৬-৭-৮ ওভার পেস বোলাররা। কিন্তু বিপ টেস্টে দেখা যাচ্ছে ১০ পার করছে না। আবার অনেকে আছে বিপ টেস্টে ১২-১৩ দেয় কিন্তু ৫ ওভারও করতে পারে না।’
‘প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও অমি প্রিমিয়ার লিগে চারটা ম্যাচ খেলে গিয়েছিলাম। ওই জিনিসটা আমাকে হেল্প করেছে। আমি জানতাম প্রথম দুদিন আমার জন্য খুব কষ্টকর হবে চট্টগ্রাম টেস্টে। তারপর আস্তে আস্তে সহজ হয়ে যাবে। একটু সুযোগ নেওয়া বলতে পারেন (চট্টগ্রাম টেস্ট খেলায় নিজের ইচ্ছে)। সুযোগটা ক্যালকুলেটিভই নেওয়া।’