মিরপুরের স্পিন স্বর্গেও পেসারদের সংস্কৃতি বজায় রাখবে বাংলাদেশ

মিরপুরের স্পিন স্বর্গেও পেসারদের সংস্কৃতি বজায় রাখবে বাংলাদেশ
Vinkmag ad

মিরপুরে টেস্ট মানে স্পিনারদের আধিপত্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও সেটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদিও টাইগার কাপ্তান মুমিনুল হক বলছেন পেসারদের নিয়ে যে সংস্কৃতি গড়ে তুলছেন সেটি ধরে রাখতে একের অধিক পেসার নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

একটা সময় ঘরের মাঠে টেস্ট মানেই বাংলাদেশের একাদশে মাত্র একজন পেসার খেলানো রীতি হয়ে যায়। বিশেষ করে মিরপুরের মন্থর ও টার্নিং উইকেটের সুবিধা পেতেই এমনটা করা হত।

তবে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো দায়িত্ব নেওয়ার পর এই রীতিতে আসে বদল। যেখানে অধিনায়ক মুমিনুলও দেন যোগ্য সমর্থন। আজকের বাংলাদেশ পেস বোলিং ইউনিটের সাফল্যের নৈপথ্যেও আছে দারুণ এই ভাবনা। প্রতি ম্যাচেই অন্তত দুইজন পেসার খেলানো শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্ট।

মুমিনুল-ডোমিঙ্গো দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘরের মাঠে খেলা ৬ ম্যাচে মাত্র একটিতে সর্বনিম্ন এক পেসার নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে ঢাকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কেবল আবু জায়েদ রাহিকে নিয়ে একাদশ গড়ে বাংলাদেশ। যদিও দ্বিতীয় পেসার হিসেবে কাজ চালিয়েছেন সৌম্য সরকার।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামীকাল (২৩ মে) বাংলাদেশ বোলিং আক্রমণ সাজাবে কোন কম্বিনেশনে এমন প্রশ্ন রাখা হয় ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে। সেখানেই মুমিনুল আজ জানান অন্তত ২ পেসার নিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা।

তিনি বলেন,

‘আমি জানিনা আমার অধিনায়কত্বে আপনারা এমন পেয়েছেন কীনা (এক পেসারের একাদশ)। মনে হয় না একজন পেসার নিয়ে খেলবো। তিনজন পেসারও খেলতে পারে (হাসি)।’

বাংলাদেশ পেস আক্রমণের মূল ভরসা তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম চোটের কারণে ছিটকে গেছেন। সে ক্ষেত্রে আগামীকাল ২ পেসার খেললে তারা হবে এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। অধিনায়ক মুমিনুল বলছেন মূল পেসাররা না থাকায় যারা খেলবেন তাদের পরখ করে নেওয়ার বড় সুযোগ এটি।

টাইগার দলপতি যোগ করেন,

‘দেখেন আপনি কোনো একটা জিনিস শুরু করলে মাঝপথে বাধা বিপত্তি আসতেই পারে। আমার কাছে মনে হয় তাসকিন যতদিন খেলেছে খুব ভালো বল করেছে। সাথে শরিফুল ভালো অবদান রেখেছে। ওদের জায়গায় যারা খেলবে তাদের জন্য এটা বড় সুযোগ। এটা আমার জন্যও সুযোগ দেখে নেওয়ার।’

‘একজন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আমি সবসময় চাই আমার এক ঝাঁক পেস বোলার থাকবে। এটা আমার জন্যও বড় সুযোগ এরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ টেস্ট দলের জন্য কতটুকু করতে পারবে, কোন জায়গায় ওরা উন্নতি করতে পারবে এগুলো দেখে নেওয়া যাবে।’

চট্টগ্রাম টেস্টে না খেলা এবাদত হতে পারেন দ্বিতীয় পেসার। চট্টগ্রামে খেলা খালেদও ছিলেন না ছন্দে। সে ক্ষেত্রে মিরপুরের মন্থর উইকেটের তাদের ভালো করার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী অধিনায়ক?

জবাবে মুমিনুল বলেন,

‘আমি সবসময় আশাবাদী থাকতে পছন্দ করি। দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টে অনেক ভালো বল করেছিল। ঐ অনুযায়ী হয়ত ভালো করতে পারিনি। লেন্থ পিক করতে পারেনি। বেশিরভাগ সময় আমরা ঢাকায় প্র্যাকটিস করি। আমার কাছে মন হয় এই কন্ডিশন ও জানে। আমার মনে হয় এই টেস্টে ও খুব ভালোভাবে ব্যাক করবে। এবাদতের জন্য এটা ভালো সুযোগ, সাথে আমার জন্যও- ওকে কন্টিনিউ করার জন্য।’

স্কোয়াডে থাকা পেসার রেজাউর রহমান রাজা হতে পারেন বাংলাদেশ পেস বোলিং আক্রমোণের ভবিষ্যত। যদিও এই সিরিজে তার খেলার সুযোগ হচ্ছে না। অধিনায়ক মুমিনুল বলছেন প্রক্রিয়ার মধ্যেই থাকছেন রাজা।

তার ভাষ্য,

‘আপাতত হয়ত সম্ভাবনা নেই (ঢাকা টেস্টে রাজার খেলার)। তার মানে এই না ওকে ফেলে দিব। হয়ত প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবে।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

সিঙ্গাপুর জাতীয় দলে হেড কোচের ভূমিকায় সালমান বাট

Read Next

পাপনের খুঁজে বের করা কারণ মুমিনুলের অস্বীকার

Total
0
Share