

সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) শিরোপা জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ডিপিএলে এবারই প্রথম এমন কীর্তি গড়লো দলটি। শিরোপা জয় উদযাপন অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে গতকাল (২০ মে) রাতে। যেখানে ক্লাবটির পৃষ্ঠপোষক বসুন্ধরা গ্রুপ ২৫ লাখ টাকা পারফরম্যান্স বোনাস দিচ্ছে নুরুল হাসান সোহানকে। বাদ যায়নি বাকিরাও, প্রত্যেক খেলোয়াড় পাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা করে।
শেখা জামালের প্রথম শিরোপা জেতা টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের উইকেট রক্ষক ব্যাটার সোহান ছিলেন দুর্দান্ত। বিশেষ করে ফিনিশার হিসেবে নিজেকে নতুনভাবে উন্মোচন করেছেন।
মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্যস্ত থাকায় গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচের বেশি খলতে পারেননি। তবে সুপার লিগের ৫ ম্যাচেই ছিলেন, রেখেছেন নিজের ছাপ। সব মিলিয়ে ৮ ম্যাচে ৯৬.৬০ গড়ে ৪ ফিফটি ১ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৪৮৩।
শেখ জামাল ধানমন্ডির হয়ে তার চেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল ইমরুল কায়েস। ৫১৩ রান করতে অবশ্য অধিনায়ক কায়েস খেলেছেন সোহানের প্রায় দ্বিগুন ১৫ ম্যাচ।
বিশেষ করে দলের বিপর্যয়ে ত্রানকর্তা হয়ে এসেছেন বেশ কয়েকটি ম্যাচে। সুপার লিগের পাঁচ ম্যাচে তার ইনিংসগুলো যথাক্রমে ৭৩, ১৩২*, ৭১ ও ৮১* ও ১৫ রানের। যেখানে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ১৩২ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন।
আর আবাহনীর বিপক্ষে ৮১ রানের ইনিংসটিকেও রাখতে হবে বেশ মর্যাদার জায়গায়। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকেই যে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন সোহান।
তার এমন পারফরম্যান্স নজর এড়ায়নি ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের। গত রাতে শিরোপা উদযাপন অনুষ্ঠানেই তাই সোহানকে ২৫ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার ঘোষণা দেন। সাথে বাকি খেলোয়াড়দের ৫ লাখ করে।
তিনি বলেন, ‘আজকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শেখ জামালের স্টাইলিশ খেলোয়াড়, যিনি আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছেন নুরুল হাসান সোহান। শেখ জামাল যখন বিপর্যস্ত সেই অবস্থা থেকে তিনি দলকে টেনে নিয়ে জিতিয়েছেন।’
‘আমি সত্যি মুগ্ধ হয়েছি। আমি বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পুরষ্কার বলা হোক কিংবা অনুপ্রেরণা বলা হোক তাকে ২৫ লাখ টাকা বোনাস ঘোষণা করছি। আর শেখ জামালের যত খেলোয়াড় আছে তাদের সবাইকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’
এদিকে ক্লাবটিতে গত কয়েক বছর ধরে খেলা নুরুল হাসান সোহান ধন্যবাদ দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপকে। সাফল্যের পেছনে খেলোয়াড়, কোচ, অফিশিয়াল ও মালিকপক্ষের সমান অবদান ছিল বলে উল্লেখ করে ভবিষ্যতেও একইরকম সমর্থনের আশা করছেন।
তার ভাষ্য, ‘আমি বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ দিতে চাই তাদের ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য। আমি এই দলটাতে (শেখ জামাল) গত চার-পাঁচ বছর ধরে খেলছি। আমার মনে হয় এই ফলটা দলের খেলোয়াড়, কোচ, অফিশিয়াল ও মালিকের যৌথ প্রচেষ্টার ফল। আমি আশা করি আগামী বছরগুলোতেও আমরা একই ধরনের সমর্থন পাবো আর শেখ জামাল তাদের ভালো পারফরম্যান্স ধরে রাখবে।’