

ম্যাড়ম্যাড়ে ড্রয়ে শেষ হল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট। যে ম্যাচে স্বাগতিকদের প্রাপ্তি বলতে দল হিসেবে খেলাকে দেখছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তবে আক্ষেপের জায়গায় আছে পেসারদের নাম।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রানের জবাবে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ করেছে ৪৬৫ রান। তবে হাতে ৭ উইকেট নিয়েও চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে রান তোলাতে তাড়া দেখায়নি অপরাজিত দুই ব্যাটার মুশফিক ও লিটন দাস। ম্যাচ বিশ্লেষণে গেলে সাগরিকায় ড্র হওয়া ম্যাচের খানিক দায় সেখানেও আছে।
ঐ সেশনে দুজনেই টিকে গেছেন, তবে রান আসেনি ৬৭ এর বেশি। সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল বলছেন এতে কোনো সমস্যা হয়নি। বরং লাঞ্চের পর লিটন আউট না হলে হয়তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারতো।
তিনি বলেন, ‘যদি আপনি পাঁচদিনের খেলাই দেখেন, ওদের আর আমাদের, এই উইকেটটা এমন একটা উইকেট ছিল যেখানে আপনি টিকে থাকতে পারবেন। কিন্তু যদি বেশি এক্সাইটেড হয়ে যান তাহলে আপনার উইকেট পড়ার সম্ভাবনাটা কিছুটা বেড়ে যাবে। যেটা আমার কাছে মনে হয়। আর ঐ সময়টাতে লিটন যদি আউট না হতো, তাহলে সেই চান্সটা আমরা নিতে পারতাম।’
‘কিন্তু সেই চান্সটা নিতে গিয়ে আমরা আর্লি উইকেট হারিয়েছিলাম। লিটন যদি আরও এক ঘণ্টা মুশফিক ভাইয়ের সাথে খেলতে পারতো, তাহলে হয়ত আমরা জিনিসটা অন্যরকম করতে পারতাম। এই উইকেটে এক হতে পারে, কিন্তু রানের গতি বাড়াতে গেলে সেটিতে আউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।’
ম্যাচের প্রাপ্তি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে টাইগার কাপ্তান যোগ করেন, ‘প্রাপ্তির জায়গা বলতে সবাই দলগতভাবে খেলতে পেরেছে এটাই ভালো লেগেছে। সবাই যখন ভালো খেলবে তখন দল হিসেবে ভালো রেজাল্ট আসবে।’
এদিকে চট্টগ্রামের মরা উইকেটে শ্রীলঙ্কান পেসাররা এক ইনিংস বল করেই নিয়েছে ৭ উইকেট। অথচ দুই ইনিংস মিলে শ্রীলঙ্কার নেওয়া ১৬ উইকেটের ১৫ টিই নিয়েছে বাংলাদেশী পেসাররা। বাকি একটি রান আউট।
একই উইকেটে সফরকারী পেসাররা ভালো করলেও বাংলাদেশের পেসাররা ভালো না করা মন খারাপ করিয়েছে দলের অধিনায়ককেও। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে পেসারদের নিয়ে যে উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশা তা পূরণ না হওয়াতে।
মুমিনুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় পেস বোলাররা যদি আরও একটু ভালো বোলিং করতে পারতো। আমাদের আপনাদের সবার কাছেই পেস বোলারদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। ওরা যদি আরও একটু ভালো বল করতো প্রথম ইনিংসে তাহলে আমার কাছে মনে হয় ভালো হতো।’
তবে স্পিনারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দলপতি, ‘আর স্পিনারদের জন্য এই পিচে উইকেট পাওয়াটা খুব কঠিন। আমার কাছে মনে হয় স্পিনারদের ভেতর নাইম, সাকিব ভাই, বিশেষ করে সাকিব ভাইয়ের রোলটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আপনি দেখেন প্রপম ইনিংসে ওরা রানের গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল। সে সময় সাকিব ভাই এসে কিছুটা লাগাম টেনে ধরেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও। স্পিনাররা আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো পারফর্ম করেছে।’