

চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৭৯ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে হাতে ৭ উইকেট থাকায় বেশ ভালো অবস্থানেই আছে স্বাগতিকরা। বাকি দুইদিন শ্রীলঙ্কাকে চাপে রেখে শেষ হাসি হাসার ব্যাপারে আশাবাদী ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ১৩৩ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলে অপরাজিত তামিম ইকবাল, রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া এই বাঁহাতি আগামীকাল চতুর্থ দিন আরেক দফা ব্যাট হাতে নামার অপেক্ষায়।
তামিম ছাড়াও আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে ৫৮ রান। শেষ সেশনে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের অবিচ্ছেদ্য ৯৮ রানের জুটি। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। অপরাজিত যথাক্রমে ৫৩ ও ৫৪ রানে।
এখনো ৭৯ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ চতুর্থ দিন চালকের আসন নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে দ্রুত রান তুলতে হবে স্কোরবোর্ডে। আগে পিছিয়ে থাকা ৭৯ রান তুলে পরে নিতে হবে লিড। ক্রিজে থাকা লিটন-মুশফিক ছাড়াও লঙ্কানদের চাপে রাখার মতো ব্যাটার আছে দলে বিশ্বাস সিডন্সের।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এখনও লিটন আছে, সে দ্রুত ব্যাট করতে পারে। এছাড়া সাকিবও আছে আমরা জানি সে কি করতে পারি। তামিমও কাল নামবে। ওদিকে শ্রীলঙ্কা ক্লান্ত থাকবে। তো আমরা অবশ্যই ওদের চাপে ফেলতে পারব। ওরা আমাদের যে পরীক্ষা নিয়েছিল গরমে, তা আমরা ওদের ফিরিয়ে দিতে পেরেছি, কালও সেই চেষ্টা থাকবে। আমার মনে হয় ওদের ইতিমধ্যে ব্যাকফুটে ঠেলতে পেরেছি। কাল প্রথম সেশনে যদি বেশি উইকেট না হারাই তবে অবশ্যই ওদের বড় রানে চাপা ফেলতে পারব।’
‘প্রথমত আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন কাল শুরুতেই দ্রুত উইকেট না হারাই। বোর্ডে রান জমা করতে হবে। এরপর শেষ দুদিনে পিচ যখন টার্ন করা শুরু করবে তখন আমরা যেন পিচ থেকে টার্ন আদায় করতে পারি। আমার বিশ্বাস তা সম্ভব, কারণ আমাদের দলে বেশ ভাল স্পিনার আছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ওদের দুজন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিতে পারলেই আমরা ম্যাচে থাকব।’
‘আমাদের প্রথমত ৭০ (৭৯) রান করতে হবে। এরপর লিড পাব। নিশ্চিত করতে হবে দিনের অধিকাংশ সময় যেন ব্যাট করতে পারি ও ভাল রান বোর্ড জমা করতে পারি। তাহলে ম্যাচ জয়ের জন্য ভালো অবস্থানে চলে আসব।’