সিডন্সের চোখে বাংলাদেশের যেমন চাওয়া তেমন পাওয়ার দিন

সিডন্সের চোখে বাংলাদেশের যেমন চাওয়া তেমন পাওয়ার দিন
Vinkmag ad

তামিম ইকবালের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া মাহমুদুল হাসান জয়ও পেয়েছেন ফিফটির দেখা। লম্বা সময় পর দুজনের ব্যাটে টাইগাররা পেলো ওপেনিংয়ে শত রানের জুটি। তামিম-জয়ের পর লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ফিফটি। দিন শেষে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স জানালেন যেমনটা চেয়েছেন তেমনটাই করেছে শিষ্যরা।

প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রানের জবাবে বিনা উইকেটে ৭৬ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। অপরাজিত দুই ওপেনার তামিম-জয় আজ সেটিকে টেনে নেন আরও অনেক দূর। ৬১ ইনিংস পর বাংলাদেশ পায় শত রানের জুটি।

যা শেষ পর্যন্ত থামে ১৬২ রানে, ৫৮ রান করে আজ (১৭ মে) তৃতীয় দিন লাঞ্চের পর আউট হন জয়। তবে ঠিকই ক্যারিয়ারের ১০ম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। গরমে ক্র্যাম্প করায় ১৩৩ রানে অপরাজিত থেকে চা বিরতিতে যাওয়া এই ব্যাটার এ দিন আর নামেননি।

শেষ সেশনে লিটন-মুশফিক ৯৮ রানের জুটিতে ছিলেন অবিচ্ছেদ্য। মুশফিক ৫৩ ও লিটন অপরাজিত ৫৪ রানে। বাংলাদেশ দিন শেষ করে ৩ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে, এখনো পিছিয়ে আছে ৭৯ রানে।

ব্যাটারদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ব্যাটিং কোচ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তামিম-জয় দুজনই গতকাল যে ভালোর শুরুটা করেছিল সেটা আজ পূর্ণতা দিয়েছে। তামিমের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত ছিল। তবে আরও রান করবে কোন সন্দেহ নেই। মোটের ওপর বলতে হয় আজ যা হয়েছে এটাই আমরা চেয়েছিলাম।’

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির বড় দায় ব্যাটারদের। যেখানে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ ও দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ রানে অলআউট হওয়ার ঘটনাও ঘটে।

অমন পরিস্থিতি দূরে সরিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটারদের ঘুরে দাঁড়ানোর পথে সিডন্স বলছেন দলে শৃঙ্খলা ফেরানো ছিল জরুরী। যা বর্তমানে বেশ ভালোভাবেই বজায় থাকছে।

এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৩ ও ৮০ রানে আউট হওয়ার পর আমাদের আত্মবিশ্বাস ফেরানোটা জরুরী ছিল। আমাদের খুব বেশি কিছু নিয়ে কাজ করতে হয়নি। ছোট জায়গাগুলো নিয়ে কথা বলেছি। তবে যেটা সবচেয়ে জরুরী ছিল যে টেস্ট খেলার শৃঙ্খলাটা আনা। তা ব্যাটিং-বোলিং যাই হোক না কেন। সবাই এই টেস্টে এই শৃঙ্খলাটা দারুণ দেখাচ্ছে।’

এ দিন সিনিয়র ক্রিকেটারদের খেলার বোধ নিয়ে দারুণ সন্তুষ্ট সিডন্স। তার মতে অহেতুক কিছু করার চেষ্টা না করেই সফল হয়েছে ব্যাটাররা।

‘এটা আসলে আত্মবিশ্ববাস বাড়ানোর কিছু না, দরকার ছিল গেম সেন্সটা আনা। ম্যাচ পরিকল্পনা কি সেটা বোঝা-ম্যাচে আনা। এই টেস্টে যেমন সিনিয়ররা সেই কাজ করছে। আপনারা দেখে থাকবেন কোন ব্যাটার আকাশে তুলে ভুল শট খেলেনি, লিটন দুবার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তা ভুলে খুব নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলেছে।’

‘মুশফিককে যা বলা হয়েছে তাই করেছে। সবাই নিজেদের সেরা শটগুলো খেলেছে, দিন শেষে একটু ধীর খেলেছে। তো এখন পর্যন্ত আমাদের যা চাওয়া সেটাই করেছে সবাই।’

চট্টগ্রাম থেকে, ক্রিকেট৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

তামিম ইস্যুতে সুখবর দিলেন জেমি সিডন্স

Read Next

চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের পথে করণীয় জানালেন সিডন্স

Total
0
Share