

আঙুলের চোট কাটিয়ে ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে টেস্ট দলের একাদশে ফেরেন নাইম হাসান। তবে ঐ সিরিজের পর দলের সাথে থাকলেও একাদশে সুযোগ মেলেনি। মূলত মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ফর্মই হয়েছে বাধা। চলতি বছর নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে স্কোয়াড থেকেই বাদ পড়েন। এবার শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে ফেরেন মিরাজের চোটে। ফিরেই লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে নিলেন ৬ উইকেট।
তার স্পিন ভেল্কিতে চট্টগ্রামে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ১৯৯ রানের ইনিংসের পরও ৩৯৭ রানে থামতে হয় শ্রীলঙ্কাকে। যেখানে ৩০ ওভারে ১০৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নাইমের। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৭৬ রান।
সংবাদ সম্মেলনে আসা নাইম জানালেন ১৫ মাস পর ম্যাচ খেলতে নেমে চলম দেখানোর পথে যাত্রাটা কেমন ছিল।
তরুণ এই অফ স্পিনার বলেন, ‘ইনজুরির সময়টা নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছি। তখন দলের সঙ্গে ছিলাম আমি, খেলার সুযোগ হয়নি। মিরাজ ভাই খুব ভালো খেলছিল, যেটা সত্যি কথা। ব্যাটিং, বোলিং ভালো করছিল, ওই জন্যই তো সুযোগ পাইনি। ইনজুরির সময় আমার চেষ্টা ছিল নিজেকে ধরে রাখার, প্র্যাকটিস করে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা, যেন যখন সুযোগ আসে তখন ভালো খেলতে পারি।’
মিরাজের চোটে নিজের সুযোগ আসলেও মন খারাপ হয়েছে। তবে পরিকল্পনা ছিল একাদশে জায়গা হলে যেন চেষ্টায় কমতি না থাকে।
নাইমের ভাষায়, ‘আসলে আমার ওরকম কোনো কিছু চিন্তা ছিল না। আমার চিন্তা ছিল যখন মিরাজ ভাই ইনজুরিতে পড়ছে তখন খারাপ লাগছে। যখন খেলেছি, চিন্তা ছিল আমি শতভাগ এফোর্ট দেবো, দিনশেষে ফল যাই আসুক যেন বলতে পারি শতভাগ এফোর্ট দিয়েছি।’
আজকের পারফরম্যান্স দিয়ে দলে নিয়মিত হওয়ার বার্তাটা কি তবে নাইম দিয়েই রাখলেন? এমন প্রশ্নে তার সোজা উত্তর এসব নিয়ে ভাবেন না, নিজের খেলাটা খেলে যেতে চান বাকিটা টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা।
‘আসলে ওটা তো টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। সুযোগ পেলে খেলাটা আমার দায়িত্ব। এখন যদি আমাকে খেলায় চেষ্টা থাকে শতভাগ এফোর্ট দেওয়ার, ভালো খেলার। টিম ম্যানেজমেন্ট খেলাবে নাকি খেলাবে না এটা তো উনাদের সিদ্ধান্ত।’
‘আসলে আমি তো যখন টিমের সঙ্গে ছিলাম না, শেষ দুই সিরিজ। এর আগে তো ছিলাম। তখন আমি বিসিএল খেলছিলাম, এরপর তো আবার বিপিএল শুরু হলো। তারপর আবার বাংলা টাইগার্সের ক্যাম্পে চলে গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে গ্যাপটা হয়নি।’