

চলমান চট্টগ্রাম টেস্ট বাংলাদেশের বিপক্ষে কুশল মেন্ডিসের পঞ্চম। লঙ্কান এই ব্যাটার তাতেই নিজের প্রতিপক্ষ বলতে পারেন বাংলাদেশকে। আজকের ৫৪ রান সহ ৮ ইনিংসে ৭২.৩৭ গড়ে রান করেছেন ৫৭৯। ২ সেঞ্চুরির বিপরীতে ২ ফিফটি, যেখানে আছে ১৯৬ রানের আক্ষেপে মোড়ানো ইনিংসও। তার ক্যারিয়ার গড় ৩৪.৮০, বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো কারও বিপক্ষে নেই ৫০ গড়ও। মেন্ডিস বলছেন শ্রীলঙ্কার মতো একই ঘরানার কন্ডিশন বলেই মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় না।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাট করেছে শ্রীলঙ্কা। অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে (১১৪*) ভর করে ৪ উইকেটে ২৫৮ রানে প্রথম দিন শেষ করে সফরকারীরা।
৬৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ম্যাথুসের সাথে ৯২ রানের জুটি মেন্ডিসের। ১৩১ বলে ৩ চারে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে তাইজুল ইসলামের শিকার হন মেন্ডিস। বাংলাদেশের বিপক্ষে সফল হওয়া নিয়ে কথা বলেছেন দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে।
জাতীয় দল ছাড়াও বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সুবাদেও অভিজ্ঞতার ভান্ডার হয়েছে সমৃদ্ধ। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও (ডিপিএল) মোহামেডানের হয়ে দুই ম্যাচ খেলে হাঁকান এক সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার একই কন্ডিশনের ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের সাফল্য নিয়ে মেন্ডিস বলেন, ‘আমি মনে করি এখানকার পিচ অনেকটা শ্রীলঙ্কান কন্ডিশনের মতো। স্পিনার ও পেসাররা প্রায় একই রকম। আমি বাংলাদেশের স্পিনার ও পেসারদের সামলাতে পারি কিন্তু তবুও কিছু সময় আউট হয়ে যাই। যদিও আমি মনে করি আমরা এটা মানিয়ে নিতে পারবো।’
শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেটে ২৫৮ রান করার পথে বাংলাদেশী পেসারদের দারুণ ভুগতে হয়েছে। এমন ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে যে পেসারদের জন্য ছিল না কোনো সুবিধাই। শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ তাই ২৪ ওভার বোলিং করে ছিলেন উইকেট শূন্য।
এ নিয়ে মেন্ডিসের ভাষ্য, ‘আমার ধারণা এখানকার পিচ ব্যাটারদের জন্য দারুণ। পেসাররা উইকেট টু উইকেট বল করেছে কিন্তু আসলেই এই পিচে তাদের জন্য কিছুই নেই। তারা ভালো বল করেছে কিন্তু এই পিচে এমন পেস বোলিংয়ে ব্যাটাররা অভ্যস্ত।’
আগামীকাল নিজেরা কোথায় থামতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে যোগ করেন, ‘আমি মনে করি এখানে ৪০০ বা ৫০০ ভালো স্কোর, এমন উইকেটে। আমরা ২৫৮ তে শেষ করেছি (প্রথম দিন)। প্রথম দিনে এটা আমি ভালো স্কোর বলেই মনে করি।’