

টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ সাম্প্রতিক সময়ে ছিলেন দুর্দান্ত। যেভাবে পারফর্ম করছিলেন তাতে তাদের জায়গা নেওয়া প্রায় কঠিন কাজই হয়ে পড়ছিল। কিন্তু চোটের কারণে দুজনেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন। আর তাতেই অন্যদের জন্য সুযোগ আসছে নিজেদের প্রমাণের, যে তারাও ভালো অবস্থানে আছেন।
কাঁধের চোটে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথে দেশে ফেরেন তাসকিন। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করে দেশে ফিরে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ খেলতে গিয়ে ডানহাতের কনিষ্ঠা আঙুলে চোট পান মিরাজ। চিড় ধরা পড়ায় তা সেরে উঠতে লাগছে দুই সপ্তাহের বেশি সময়। তাসকিন ইতোমধ্যে চিকিৎসা করাতে গেছেন ইংল্যান্ডে। দেশেই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে মিরাজের।
চলতি বছর জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের অবদান ছিল দুজনের। বল হাতে তাসকিনের শিকার ৩ উইকেট , মিরাজের ৪ উইকেট। ব্যাত হাতেও প্রথম ইনিংসে মিরাজ খেলেন গুরুত্বপূর্ণ ৪৭ রানের ইনিংস।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধ কন্ডিশনেও মিরাজ দুই টেস্টে নেন ৯ উইকেট। চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অস্বস্তিতে ভোগা তাসকিনের শিকার দুই উইকেট।
সব মিলিয়ে ফর্মে থাকা দুই ক্রিকেটারকে ছাড়া আগামীকাল (১৫ মে) চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে নামার আগে মিস করছে অধিনায়ক মুমিনুল। সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য নতুনদের সামর্থ্য জানান দেওয়ার সুযোগ দেখছেন উল্লেখ করেছেন। সুযোগ পাওয়াদের উপর ভরসা রাখছেনও।
তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে জয়ে তাদের অনেক অবদান ছিল। তাদের দুজনকে মিস করব। একজন ভালো ব্যাটিংও করে, অলরাউন্ডার। তবে তাদের জায়গায় যারা খেলবে তাদের জন্য ভালো সুযোগ। ওরা এমন পারফর্ম করছিল যে অন্য কাউকে সুযোগ দিচ্ছিল না। ওদের জায়গায় যারা খেলবে তারা ঐ বার্তা দিতে চাইবে যে আমরাও ভালো অবস্থানে আছি। তাদের ওপর বিশ্বাস আছে।’
‘অনেক সময় সাকিব ভাইও ছিল না, যে ছিল তার জায়গায় বিশ্বাস ছিল। এই বিশ্বাস আমি সবসময় দেখাবো। বিশ্বাস না থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে সেটা দেখাতে পারব না। যারা আছে, তাদের প্রতি সাপোর্ট আছে।’