
সাকিব আল হাসান টেস্ট খেলতে চান না এমন গুঞ্জন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাতাসে কান পাতলেই শোনা যায়। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে কোভিড পজিটিভ হয়ে ছিটকে গেলেও নেগেটিভ হয়ে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত ৯ মে দেশে ফেরা সাকিবের করোনা পরীক্ষা হয়। পরদিন আসা ফলাফলে পজিটিভ প্রমাণিত হন। যে কারণে তাকে পাঁচ দিন আইসোলেশনে পাঠিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৫ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া চট্টগ্রাম টেস্টের স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়।
তবে সাকিব আইসোলেশন শেষ করার আগে নিজেই আরেক দফা করোনা পরীক্ষা করান। যেখানে নেগেটিভ প্রমাণিত হয়ে গতকাল (১২ মে) রাতেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ক্ষুদে বার্তা পাঠান। তবে নিয়ম অনুসারে বোর্ডের মেডিকেল বিভাগ আবারও করোনা পরীক্ষা করবে বলে জানিয়ে দেন পাপন।
সে অনুসারেই আজ (১৩ মে) করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ প্রমাণিত হন টাইগার অলরাউন্ডার। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার ফ্লাইটেই চট্টগামে এসে দলের সাথে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর টিম ম্যানেজমেন্ট ফিট মনে করলে চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশেও খেলিয়ে দিতে পারে। বিসিবি সভাপতি অবশ্য সবকিছু সাকিবের উপরই ছেড়ে দিলেন।
আজ চট্টগ্রামে টিম হোটেলে ক্রিকেটারদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে পাপন বলেন, ‘ও (সাকিব) কালকে রাতে আমাকে জানিয়েছে যে ও কোভিড নেগেটিভ। ও অ্যান্টিজেন টেস্ট করেছিল, অ্যান্টিজেন টেস্ট করে ও নেগেটিভ আসছে। তখন সে পিসিআর টেস্ট করতে দিয়েছে, তখনো যদিও রেজাল্টটা আসেনি, প্রথম যখন কথা হয়। তারপর রাত ১টা দেড়টার দিকে সে আমাকে মেসেজ করে যে পিসিআরও নেগেটিভ। তারপর আমরা বলেছি আমাদের প্রটোকল অনুযায়ী আবার করতে হবে, ও তো করেছে প্রাইভেট একটা জায়গায়। আজকে আবার করা হয়েছে, এটা আমি এখানে আসার পরে শুনলাম নেগেটিভ।’
‘ওর সাথে যে কথাটা হয়েছে যে ও নেগেটিভ হলে এখানে আসবে এবং এখানে ব্যাপারটা হচ্ছে ও কিন্তু অনুশীলনে নাই, খেলার মধ্যে নাই। প্লাস ওর ফিজিক্যাল কন্ডিশন ও বলেছে ও সুস্থ বোধ করছে। কিন্তু এটা পুরোটাই হচ্ছে মেডিকেল ইস্যু। এখানে মেডিকেল টিমের যারা আছে, ফিটনেস ট্রেনার যারা আছে তারাই ওকে বিচার করবে। সে শুধু কালকে একদিন অনুশীলন করার সুযোগ পাবে। আজকে যদি এখনো আসতে পারতো আজকে অনুশীলনে জয়েন করতে পারতো। আমি শুনেছি সন্ধ্যা ৭টা আসবে, সবচেয়ে বড় ব্যাপারটা ও যে কোভিড নেগেটিভ হয়েছে তাতে আমরা খুশি।’
‘যত তাড়াতাড়ি দলের সঙ্গে ঢুকতে পারবে খেলতে পারবে আমরা সেটাই আশা করছি। হয়তো সে খেলতে পারে আবার নাও খেলতে পারে, মানে এটা আসলে বলাটা মুশকিল। ওর উপর নির্ভর করছে, টিমের উপর নির্ভর করছে এবং মেডিকেল টিমের উপর নির্ভর করছে। এখানে আবেগী হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু করোনা নেগেটিভ হয়ে খেলা এটা যদি ওডিআই হতো আমরা বলতাম খেলো। কিন্তু এটা পাঁচ দিনের খেলা, আমরা চাইবো না ওর জন্য বাড়তি চাপ হোক বা ক্ষতির ইস্যু হয়। সেজন্য আমরা সাবধানে যাবে, এবং ওর উপর পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া আছে। ও যদি খেলতে চায়, তাহলে ও খেলবে, ওকে তো না করার কোনো সুযোগ নেই।’
এদিকে আজ চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলছেন পুরো ফিট সাকিবকেই তারা চান একাদশে। ৫০-৬০ শতাংশ ফিট সাকিবকে খেলানো কঠিন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।