আশ্বাসেই আটকে আছে বাংলাদেশে রাজস্থান রয়্যালসের কার্যক্রম

যেকারণে হঠাৎ মিরপুরে রাজস্থান রয়্যালস কর্তারা
Vinkmag ad

২০২১ সালের মার্চে হুট করেই বাংলাদেশ সফরে আসে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজস্থান রয়্যালস চেয়ারম্যান রঞ্জিত বারঠাকুর সহ একটি প্রতিনিধি দল। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে বারঠাকুর জানিয়েছিলেন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেট কার্যক্রমের বিনিময় করতে চান। এর বাইরে রয়্যাল একাডেমি নামে বাংলাদেশে একটি একাডেমি করার পরিকল্পনাও ছিল। তবে বছর পেরিয়ে গেলেও এসব কার্যক্রমে কোনো অগ্রগতি নেই।

ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বিনিময়ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বিসিবির (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। গেম ডেভেলপমেন্টের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় রাজস্থান রয়্যালসের দিয়ে যাওয়া আশ্বাসের পর তা বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এমনকি এ নিয়ে নতুন করে কোনো আলোচনা, পরিকল্পনার কথাও তারা জানেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা যেমন ‘ক্রিকেট৯৭’ কে বলছিলেন, ‘আসলে তারা (রাজস্থান রয়্যালস প্রতিনিধি) চলে যাওয়ার পর এ নিয়ে কোনো আলাপ শুনিনি। যেহেতু তাদের বিনিময় কার্যকক্রমের সাথে আমাদের (গেম ডেভেলপমেন্ট) সম্পৃক্ততা আছে, কিছু অগ্রগতি হলে জানতে পারতাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি যে এরকম কিছু করবো কিংবা ওরকম কোনো পরিকল্পনা হচ্ছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে কোনো কার্যক্রম শুরু হচ্ছে এমনটা আমি বলতে পারছি না।’

গত বছর ৩ মার্চ বাংলাদেশে এসে রাজস্থান প্রতিনিধি দল বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন, গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার আব্দুল বাতেন, নারী বিভাগের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ, মিরপুরের প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে নিয়ে মূল মাঠ ও একাডেমি মাঠ পরিদর্শন করেন।

পরে সংবাদ মাধ্যমে রঞ্জিত বারঠাকুর বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি স্টেডিয়ামটি দেখতে যে আমরা কিভাবে বাংলাদেশ জেলা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে কো-অপারেশন করতে পারি এবং কিভাবে আমরা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামগুলো করতে পারি সেটা দেখতে।’

‘বাংলাদেশে আমরা একটি একাডেমি করতে চাই। যার নাম হবে রয়্যাল একাডেমি। যদিও এটি এখনো ভাবনার মধ্যে আছে। তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা উদগ্রীব হয়ে আছি। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সবসময়ই সমর্থন দিয়ে গেছি।’

এর বাইরে আইপিএলে প্রতিটি দল অন্তত একজন করে বাংলাদেশী ক্রিকেটার নেওয়া উচিৎ বলেও মত দিয়ে যান বারঠাকুর। সেবার তার দল রাজস্থান রয়্যালসে খেলেছিল বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তবে নিজের বলা কথাতে এবারের আইপিএল নিলামে অনড় থাকতে পারেননি এই ক্রিকেট সংগঠক।

মুস্তাফিজকে রিটেইন না করলেও সুযোগ ছিল নিলাম থেকে কিনে নেওয়ার। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আগের মৌসুমে ভালো করলেও তাকে কেনার আগ্রহই দেখায়নি দলটি। এর বাইরেও অন্য কোনো বাংলাদেশী কোনো ক্রিকেটারকে কেনেনি আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

অথচ রঞ্জিত বারঠাকুর বলে গিয়েছেন, ‘স্পিন ও ব্যাটিং অলরাউন্ডারের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে আইপিএলের মূল উৎস। আরও ৪-৫ জনকে যদি আমরা নিতে পারি এখান থেকে খুব ভালো হত। আইপিএলের রেস্ট্রিকশন একটা হল চারজন বিদেশি নেওয়া যায়।’

‘৮ টা দল একটা করে বাংলাদেশের প্লেয়ার নিলেও ৮ জন বাংলাদেশের প্লেয়ার হওয়া উচিত। কারণ পাকিস্তান নেইতো। এখানকার স্পিনার ও অলরাউন্ডাররা বেশ উৎসাহ দেওয়ার মত।’

নাজমুল হাসান তারেক

Read Previous

৫০ টাকায় মাঠে বসে দেখা যাবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ

Read Next

মুস্তাফিজ ভক্ত ডোনাল্ড দিলেন আন্দ্রে রাসেলের উদাহরণ

Total
0
Share