

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের পুরষ্কৃত করে আসছে। এমন কিছু বেশ আগে শুরু করলেও দীর্ঘদিনের বিরতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এবার আবারও বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড নাইট আয়োজনের পরিকল্পনা দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার।
২০০৭ সালে সর্বশেষ বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড নাইট আয়োজন করেছিল বিসিবি। সেবার সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন শাহরিয়ার নাফিস। সেরা বোলার ও অলরাউন্ডার হন মোহাম্মদ রফিক।
লম্বা বিরতির পর মর্যাদার এই অ্যাওয়ার্ড নাইট ফের ফিরতে যাচ্ছে এমনটাই জানালেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। তবে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না নতুন করে চলমান বছরের পুরষ্কার দিবে নাকি আয়োজন না হওয়া বছরগুলোকেও বিবেচনায় এনে ব্যাপক পরিসরে আয়োজন করবে।
Receiving National Sports Award 2016 as Organizer(Cricket) on behalf of https://t.co/3vKPtYwRgY Minister Sheikh Hasina.A proud moment for me. pic.twitter.com/Zo76JhmDJu
— Mohammed Jalal Yunus (@JalalYunusCric) May 11, 2022
আজ (১১ মে) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার নিতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন জালাল ইউনুস।
বর্ষসেরা পুরষ্কার নিয়ে তিনি জানান, ‘অ্যাওয়ার্ড নাইটটা আমরা আগে করেছিলাম। অনেকদিনের একটা বিরতি হয়ে গেছে, প্রায় ১৫-১৬ বছর ধরে অ্যাওয়ার্ডটা দেওয়া হচ্ছে না। এটা নিয়ে কয়েকবার বোর্ড মিটিংয়ে কথা বলেছিলাম। পেছনে গিয়ে অ্যাওয়ার্ডগুলো দেওয়া শুরু করবো নাকি নতুন করে চলমান বছরের অ্যাওয়ার্ড দিব সেটা নিয়ে দ্বিধায় আছি।’
‘কারণ পেছনে গেলে এটা অনেক বড়ভাবে আয়োজন করতে হবে। এমনও হতে পারে একদম পেছনে না গিয়ে মাঝখান থেকেও যদি শুরু করতে পারি…এরকম একটা পরিকল্পনা আছে। আমার মনে হয় আপনারা খুব শীঘ্রই এই অ্যাওয়ার্ড নাইটটা দেখতে পারবেন।’
এবার জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে গত ৮ বছরের এক সাথে। সাবেক ক্রিকেটার ও সংগঠক জালাল ইউনুস পুরষ্কার পেয়েছেন ২০১৬ সালের। এই পুরষ্কার তাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্রিকেট নিয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি যোগ করেন, ‘অবশ্যই এই জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কারটা, আমি যে ক্রিকেটার ও সংগঠক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়াটা আমাকে সামনে আরও অনুপ্রাণিত করবে। যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন যেন ক্রিকেটের জন্যভকাজ করতে পারি তা এই অ্যাওয়ার্ডটা আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।’