

ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না মুশফিকুর রহিমের। আর তাতেই চারদিকে সমালোচনার ঝড় বইছে। সব ফরম্যাট না খেলার পরামর্শও আসছে নানা দিক থেকে। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স বলছেন মুশফিক আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজেই দাপুটে পারফরম্যান্স উপহার দিবেন।
চলতি বছর খেলা ৩ টেস্টে তার ব্যাটে সাকূল্যে রান ৭৬, যেখানে আছে ৫১ রানের একটা ইনিংসও। ৮৬ রানের একটি ইনিংস খেলার পরেও চলতি বছর ৬ ওয়ানডে খেলে রান করেছেন মাত্র ১১৬। সর্বশেষ ১০ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে রান ১৭৭।
মুশফিক কেবল রান না করার কারণেই সমালোচিত হচ্ছেন না। বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় ঠিকঠাক শট নির্বাচন করতে না পেরেও বিপাকে ফেলেছেন দলকে। বয়স ৩৫ পেরোলেও কোনো ফরম্যাট থেকে সরে গিয়ে অন্য ফরম্যাটে মনযোগী হচ্ছেন না বলেও নেতিবাচক কথা উঠছে।
তবে এমন বাজে সময়ে টলে না গিয়ে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সকে নিয়ে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য দারুণভাবে প্রস্তুত হচ্ছেন মুশফিক। চট্টগ্রামে চলমান দলীয় ক্যাম্প ছাড়াও দিন কয়েক আগে শৈশব গুরু নাজমুল আবেদিন ফাহিমের সাথেও কাজ করেছেন নিবিড়ভাবে।
সিডন্স বলছেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের হতাশা পেছনে ফেলে মুশফিক লঙ্কানদের বিপক্ষে দারুণ কিছু করবে। ১৫ মে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। তার আগে আজ অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন এই অস্ট্রেলিয়ান।
তিনি বলেন, ‘সব ব্যাটারই এই ধাপটা পার করে যেখানে সে রান পায় না তেমন। তবে সে এখানে গত দুই দিনে যেভাবে ব্যাটিং করছে, আমি নিশ্চিত এই সিরিজে সে রান করবে। আমি ওর ব্যাটিং দেখতে মুখিয়ে রয়েছি। ওর সঙ্গে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। আমার মতে, সে ভালো একটি সিরিজ কাটাতে চলেছে।’
চারদিকে ফরম্যাট বেছে বেছে খেলা নিয়ে জোর আলোচনা চললেও সিডন্স সেসবের ভার দিয়ে রেখেছেন মুশফিকের উপরই। চলমান খারাপ সময় কাটিয়ে দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার সেরা ছন্দে ফিরবে আরেকবার আশার বাণী শোনালেন টাইগারদের ব্যাটিং কোচ।
‘আমি মনে করি, মুশফিক সবসময় সামনের বিষয় নিয়ে ভাবে। এখন যেমন দুই টেস্ট ম্যাচ। আমার মনে হয় না সে নিজের কোনো ফরম্যাটের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত। সে এখন এ দুই ম্যাচে আমাদের হয়ে রান করা নিয়ে চিন্তা করছে। তার চিন্তা এখন এ দুই ম্যাচের ওপর। সাদা বলের ক্রিকেটে সে বেশ সফল।’
‘যেকোনো ভালো খেলোয়াড়েরই এমন সময় আসে যেখানে সে রান করতে পারে না। সেখান থেকে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। এজন্যই তারা গ্রেট প্লেয়ার। মুশি দেশের সবচেয়ে সফল টেস্ট ব্যাটার। সে অনেক রান করেছে। তার হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মতো একটা পিরিয়ড এসেছে। তবে আবার রানে ফিরবে সে।’
মাঠের বাইরে নেতিবাচক কথা বলা বন্ধ হওয়া উচিৎ উল্লেখ করে সিডন্স যোগ করেন, হ্যাঁ অবশ্যই (নেতিবাচক কথা বলা প্রভাব ফেলে)। তোমাদের উচিত নেতিবাচক কথা বলা বন্ধ করা। তাদের ওপর প্রেশার দিও না। তারা এক সিরিজে হতাশ করেছে দেখে চাপ সৃষ্টি করো না, সবসময় তাদের পাশে থাকো যেনো তারা সেই চাপটা অনুভব না করে।’