

২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মুমিনুল হকের। আজ ৯ বছর বাদে মুমিনুল হক বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের আগে অবশ্য তার অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা কম হচ্ছে না।
৫১ টেস্ট খেলে ফেলা মুমিনুল হক শেষ দুই টেস্টের চার ইনিংসেই (০, ২, ৬, ৫) দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। মাঝে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট (৮৮ ও ১৩*) বাদ দিলে মুমিনুলের রান খরা চলছে এটা বলতে বাধ্য আপনি। দেশ-বিদেশ মিলে শেষ ৬ টেস্টে ৯ বার ১০ ছুতে পারেননি তিনি।
তার এই রান খরার সময়ে শেষ ৩ টেস্টেই বাংলাদেশ হেরেছে বড় ব্যবধানে। ঘরের মাঠে শেষ সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষেও হতে হয়েছে ধবলধোলাই। তাই মাঝের মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়টি ঝড়ে কলাগাছ পড়ার মত কিনা এই কথা আলোচনার দাবি রাখে।
নিজের ফর্ম নিয়ে মুমিনুল হক যে চিন্তিত নন সেটা সংবাদমাধ্যমে একাধিকবার বলেছেন তিনি। নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকও এবার একইরকম কথা বললেন, সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন মুমিনুলের লেভেল।
সাভারের বিকেএসপিতে শ্রীলঙ্কা ও বিসিবি একাদশের প্রস্তুতি ম্যাচে যাওয়া আব্দুর রাজ্জাক মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের। সেখানে আসে মুমিনুল প্রসঙ্গ।
রাজ্জাকের ভাষ্য ছিল এমন, ‘আসলে পরিকল্পনা করার কথা না (অধিনায়কত্ব বদলের)। একটা দুটা সিরিজ খারাপ যেতেই পারে, তার জন্য একজন মানুষকে নিয়ে হুট করে একটা কথা বলা ঠিক না। তারপরও একেকজনের মানসিকতা একেক রকম, মূল্যায়ণ করার ক্ষমতা একেক রকম। যে যেভাবে করে সেটা… আমার তরফ থেকে যদি বলি, সবকিছু স্বাভাবিক। দুটো সিরিজে আমরা মুমিনুলকে যেভাবে চিনি, সেভাবে দেখিনি।’
‘ও কোন লেভেলের ব্যাটসম্যান, সেটাও আমাদের দেখা উচিত। ওর নামটা কাদের কাতারে আছে, এটা অবশ্যই দেখা উচিত। যে কাতারটা আমাদের দেশের মধ্যে নাই ই। একজন মানুষকে নিয়ে বলা তো সহজ, সবাই ই বলতে পারে। কিন্তু সে ঠিকঠাক আছে। ওর খারাপ সময় যাচ্ছে, যেতে পারে। এটুকুই। আর কিছু না। আমি নিশ্চিত বোর্ডেরও এটাই চিন্তা। তা না হলে তো বলেই দেওয়া যায় যে আমার হচ্ছে না তোমাকে দিয়ে। কিন্তু সেটাতো না। মুমিনুলকে নিয়ে বাইরে যত চিন্তা হচ্ছে, আমরা এতটা করছি না। কারণ অত চিন্তার জায়গায় এটা যায়নি।’
আব্দুর রাজ্জাক যেমন বলছেন অত চিন্তার জায়গায় এটা যায়নি, তবে পরিসংখ্যান বলছে ভাবনার জায়গা নিশ্চিতভাবে তৈরি হয়েছে।
View this post on Instagram
২০১৩ থেকে ২০১৯- যখন মুমিনুল হক অধিনায়ক হননি সেসময়ে তিনি রান করেছেন ২৬১৩, গড়টা ৪১.৪৭। ৩৬ ম্যাচে সেঞ্চুরি ৮, ফিফটি ৫০, কোন রান না করে আউট হওয়া ৬ বার।
অধিনায়কত্ব পাবার পর মুমিনুল খেলেছেন ১৫ ম্যাচ। যেখানে ৯০১ রান করেছেন ৩৪.৬৫ গড়ে। ৩ বার করেছেন সেঞ্চুরি, ২ বার ফিফটি, কোন রান না করে আউট হয়েছেন ৫ বার।