

৮ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে আগামীকাল (১১ মে) জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়, কোচ, সংগঠকদের। ২০১৬ সালে ক্রিকেটার ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হওয়া হাবিবুল বাশার এ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। তবে খানিক অতৃপ্তি আর আক্ষেপও আছে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের।
আজ (১০ মে) সাভারের বিকেএসপিতে শ্রীলঙ্কা ও বিসিবি একাদশের প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে যান বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক বাশার। সেখানেই সংবাদ কর্মীদের সাথে আলাপে জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার নিয়ে কথা বলেন।
আনন্দিত সাবেক এই ক্রিকেটার জানান, ‘এটা আনন্দের এবং আমি মনে করি আমি খুব ভাগ্যবান যে এই সম্মাননাটা পাচ্ছি। নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে, সেই জায়গা থেকে অনেক সম্মানিত বোধ করছি। যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্যই এটা সম্মানের।’
সাধারণত জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন। তবে ৮ বছরের পুরষ্কার এক সাথে দেওয়া হচ্ছে বলে সংখ্যাটাও বেশি। যে কারণে আগামীকাল এই পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি পাওয়া যাবেনা। যদিও ভার্চুয়ালি যোগ দিবেন।
আফসোস করে বাশার যেমনটা বলছেন, ‘একটু তো আফসোস থাকবে, তবে যেহেতু একসঙ্গে আট বছরের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটু (কঠিন)। কিন্তু আমি পুরস্কারটা পাচ্ছি, ভার্চুয়ালি হলেও প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান থেকে পাচ্ছি, সে জায়গা থেকে ভাগ্যবান।’
দীর্ঘ বিরতির পর হলেও এমন আয়োজন ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বস্তির খবর। হাবিবুল বাশারের মতে এই পুরষ্কার জেতাটা সম্মানের।
‘ক্রীড়াবিদদের জন্য অবশ্যই স্বস্তিদায়ক হবে এটা। ক্রীড়াবিদ সবারই স্বপ্ন থাকে। এবার যেহেতু আট বছর পর হচ্ছে, কেউ কেউ হয়তো সরাসরি নিতে পারছে না। তবু এটা অনেক সম্মানের।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ থেকে ২০২০ এই সময়কালে ৪ জন ক্রিকেটার জিতেছেন এই পুরষ্কার। তারা হলেন দিপু রায় চৌধুরী (২০১৯), কাজী হাবিবুল বাশার (২০১৬), খালেদ মাহমুদ সুজন (২০১৩) এবং মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু (২০১৩)।