

আইসিইউ থেকে বেরিয়ে এসেই মাঠে নেমে পড়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। শুধু মাঠেই নামেননি। ওপেন করতে নেমে ৫২ বলে ৬৭ রানের নির্ভরযোগ্য এক ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। তবে দল হারলেও, বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেট প্রেমীর মন জয় করে ফেলেন তিনি। কিন্তু সব বন্দনা ছাপিয়ে এবার সামনে আসল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে নিষিদ্ধ ইনজেকশন দেওয়া হয় রিজওয়ানকে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চিকিৎসক নাজিবুল্লাহ সুমরো একথা স্বীকার করেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্রিকেট বিশ্বে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ‘নিষিদ্ধ ড্রা*গ’ ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে ৩৫ ঘন্টা আইসিইউতে ছিলেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রসঙ্গত তাঁর ফুসফুসে মারাত্মক রকমের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তবে আইসিইউ তে দু’দিন থাকার পর রিজওয়ান মাঠে নেমে যা করলেন তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য।
৩৫ ঘন্টা আইসিইউতে কাটিয়ে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন পাকিস্তানি তারকা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬৭ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলার পাশাপাশি গোটা ম্যাচে কিপিংও করেন রিজওয়ান। তবে সেমিফাইনালে পাকিস্তান হেরে গেলেও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাহসীকতার প্রশংসা করেছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা।
কিন্তু এসব ছাপিয়ে এবার সামনে আসলো বিস্ফোরক তথ্য! গত বিশ্বকাপের সময় জেনেশুনে নিষিদ্ধ ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল মোহাম্মদ রিজওয়ানকে।
যদিও এমনটা করার আগে আইসিসির অনুমতি নেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন নাজিবুল্লাহ। রিজওয়ানের সঙ্গে একটি মুখোমুখি সাক্ষাৎকার চলাকালীন পাকিস্তানের টিম ডাক্তার বলেন,
‘তুমি শ্বাস নিতে পারছিলে না। তোমাকে সুস্থ করে তোলার জন্যই আইসিসির কাছ থেকে সেই ওষুধটি ইনজেক্ট করার অনুমতি নিতে হয়। এটি অ্যাথলিটদের জন্য নিষিদ্ধ। তবে যেহেতু আর কোনও বিকল্প ছিল না, তাই সেটি ব্যবহার করার অনুমতি চাওয়া হয়।’