

অভিষেকের পর পারফরম্যান্স দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গা নড়বড়ে করে দেন নাইম হাসান। তবে মিরাজের দাপুটে প্রত্যাবর্তনে আবার আড়ালে পড়ে যান নাইম। এবার মিরাজের চোটে ফের সুযোগ মিলেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে এই অফ স্পিনার বলেন কিছুটা বিরতির পর জাতীয় দলে ফিরলেও মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না। লঙ্কানদের বিপক্ষে ভালো করতে ভিডিও ফুটেজের সাহায্য নিচ্ছেন বলেও জানান।
২০১৮ সালে ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে অভিষেক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, সর্বশেষ ম্যাচ খেলছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরে। ৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে উইকেট ২৫ টি, ৫ উইকেট শিকার ২ বার।
এবার আরেক দফা সুযোগ পেয়ে দলের সাথে অনুশীলনে ব্যস্ত চট্টগ্রামে। এখানেই যে ১৫ মে শুরু হচ্ছে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট। এক বছরের বেশি সময় পর টেস্ট খেলার অপেক্ষায় থাকা নাইম উচ্ছ্বসিত।
আজ (৯ মে) অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। আবার সুযোগ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। বড় ভাইদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করতে সব সময় ভালো লাগে। উনাদের থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। পরিবেশটাও অনেক ভালো থাকে। বোলিং ভালো।’
স্পিন কোচ শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তী রঙ্গনা হেরাথকে পেয়ে নতুন কিছু শিখছেন নাইম। এর বাইরে দেশী স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলামের সান্নিধ্যে নিজেকে ধারালো করার ব্যাপারও তুলে ধরেছেন।
‘আসলে টেস্ট ম্যাচে লম্বা সময় একটা জায়গায় বোলিং করতে হয়। তো ও (হেরাথ) বলছিল কোথায় বল করতে হবে, ধৈয্য ধরে বোলিং করতে হবে তারপর সোহেল স্যারের সঙ্গে কাজ করেছি যে ওটা নিয়েও ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। তো ও জিজ্ঞেস করতেছে কী কাজ করছি না করছি।’
শ্রীলঙ্কান ব্যাটারদের দুর্বলতা বের করে সেটা মাঠে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে টাইগার স্পিনারের সহায়ক হচ্ছে ভিডিও ফুটেজ। সাথে সাকিব আল হাসানের সঙ্গ পেলে বোলিং উপভোগ করেন বলেও জানান।
নাইম বলেন, ‘আসলে ওদের ভিডিও দেখেছি। ওই হিসেবে প্ল্যান করছি। সুযোগ পেলে ভিডিও দেখাটা কাজে লাগতে পারে। ওভারঅল সবার ভিডিও দেখেছি। আসলে আমরা তো বিসিএল, এলসিএলে চারদিনের খেলি, তো সমস্যা হবে না আশা করি। সাকিব ভাই থাকলে তো টিমে একটা বোলার একটা ব্যাটার বেশি পাওয়া যায়।’
‘সাথে সাকিব ভাই বোলারদের অনেক হেল্প করে। আসলে ওইরকম কোনো কিছু চিন্তা করছি না। আমার ১০০ ভাগ দেওয়ার চেষ্টা করব আর প্রসেসটা মেইনটেইন করার ট্রাই করব। যখন ব্যাট হাতে নিয়ে নামি নিজেকে ব্যাটার মনে করি। আর যতটুক পারি, টিমে অবদান রাখার চেষ্টা করি।’