

অস্ট্রেলিয়া নারী দলের তারকা ক্রিকেটার অ্যালিসা হিলি ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজ হয়েছেন আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ (এপ্রিল, ২০২২)।
আইসিসি (দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) আজ ঘোষণা করেছে যে বাকিদের টপকে এই দুজন জিতে নিয়েছেন এপ্রিল মাসের সেরা ক্রিকেটার (পুরুষ ও নারী বিভাগে) এর তকমা।
এপ্রিলের সেরা নারী ক্রিকেটার হবার দৌড়ে অ্যালিসা হিলি পেছনে ফেলেন উগান্ডার জানিত বাবাজি ও ইংল্যান্ডের ন্যাট শিভারকে।
আইসিসি উইমেন্স ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনালে ১৭০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন হিলি, যা কিনা যেকোন বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। অ্যালিসা হিলি প্রথম নারী ক্রিকেটার যিনি ভিন্ন দুইবার হলেন আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার।
পুরুষদের বিভাগে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপুটে পারফর্ম করে মাসসেরা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজ। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ১২.১২ গড়ে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দুই টেস্টের ২য় ইনিংসেই ৭ টি করে উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
মাসসেরা ক্রিকেটার হবার দৌড়ে কেশব মহারাজ পেছনে ফেলেন তার স্বদেশী সিমন হারমার ও ওমানের জতিন্দর সিংকে।
আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ এর ভোটিং প্রসেসঃ
দুই ক্যাটাগরিতে (নারী ও পুরুষ) মনোনীতরা শর্টলিস্টেড হন এক মাসে অন ফিল্ডে তাদের পারফরম্যান্স ও মাসে তাদের অর্জন দিয়ে।
মনোনীতরা আইসিসির স্বাধীন ভোটিং অ্যাকাডেমি ও বিশ্বজুড়ে সমর্থকদের ভোট পান। সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া ক্রিকেটার হন আইসিসি ক্রিকেটার অব দ্য মান্থ। ভোটিং অ্যাকাডেমি তাদের ভোট দেন ই-মেইলের মাধ্যমে, ভোটের ৯০ শতাংশ নির্ধারিত হয় তাদের ভোটের মাধ্যমে। বাকি ১০ শতাংশ থাকে সমর্থকদের আওতায়।
আইসিসি প্রতি মাসের দ্বিতীয় সোমবার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে তাদের ডিজিটাল চ্যানেলে।
আইসিসি ভোটিং অ্যাকাডেমিঃ
আফগানিস্তান- হামিদ কাইয়ুমি ও জাভেদ হামিম, অস্ট্রেলিয়া- মেলিন্দা ফারেল ও লিসা স্থালেকার, বাংলাদেশ- সাইদ জামান ও মোহাম্মদ ইসাম, ইংল্যান্ড- এলিজাবেথ এমন ও হলি কলভিন, আয়ারল্যান্ড- জার সিগিংস ও ক্লেয়ার শিলিংটন, ভারত- লাভানিয়া লাক্সমি নারায়ণ ও ইরফান পাঠান, নিউজিল্যান্ড- ক্রেইগ কামিং পাকিস্তান- ফাইজান লাখানি ও সানা মির, দক্ষিণ আফ্রিকা- ফিরদোস মুন্ডা ও জেপি ডুমিনি, শ্রীলঙ্কা- নেভিল ভিক্টর অ্যান্থনি ও রাসেল আরনল্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ড্যারেন গঙ্গা ও মেরিসা অ্যাগুইলেইরা, জিম্বাবুয়ে- ট্রিস্টান হোম ও পুমেলেলো এম্বাঙ্গুয়া, অন্যান্য- অজিত বিজয়কুমার ও ডার্ক ন্যানেস।