

বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিজে থেকে নির্দিষ্ট ফরম্যাটকে বিদায় বলার রেওয়াজ খুব একটা দেখা যায় না। বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলছেন ভবিষ্যতে কেউ মন খারাপ করে যাক তা চান না তারা। তাই সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে বোর্ডই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
মাশরাফি বিন মর্তুজার ওয়ানডে অধিনায়কত্ব তথা এই ফরম্যাট থেকে বিদায় নেওয়া নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। তাকে সরানোর জন্য সোজা পথে হাঁটতে পারেনি বোর্ড। মূলত দেশের ক্রিকেটে তার অবদানের প্রতি সম্মান রেখেই এমন কিছু করতে পারেনি।
যদিও শেষ পর্যন্ত মাশরাফি অধিনায়কত্ব ছাড়লেও ওয়ানডে ফরম্যাটকে বিদায় বলেননি। এদিকে নির্বাচকরাও তাকে আর বিবেচনায় রাখেননি। আরেক সিনিয়র মুশফিকুর রহিম খেলে চলেছেন তিন ফরম্যাটেই। ফর্মহীনতার কারণে তাকে টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রেও মাশরাফির মতো সম্মানের জায়গায় আঁটকে যাচ্ছে বিসিবি।
অন্যদিকে সাকিব আল হাসান কোন ফরম্যাট খেলতে চান আর কোন ফরম্যাট খেলতে চান না তা পরিষ্কার না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছেও। তবে সব মিলিয়ে বিসিবি বস এবার কঠোর হওয়ার আভাস দিলেন। কেউ নিজের সম্মান নিয়ে হাসিমুখে বিদায় না বললে ব্যবস্থা নিবে বোর্ডই।
আজ (৮ মে) সাংবাদিকদের পাপন বলেন,
‘আমাদের এই প্লেয়ারগুলোকে আমরা চাই না তারা মন খারাপ করে যাক, আমরা চাই তারা হাসিমুখে যাক। নিজেরা সিদ্ধান্ত নেক, যত তাড়াতাড়ি তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ততই ভালো। কিন্তু একটা সময় তো আসবে যদি সিদ্ধান্ত না নেয়, তখন আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের বলতে আমি না, কোচিং স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট, সবাইকে নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
‘ক্রিকেটে একটা বিরাট পরিবর্তন আসছে। টি-টোয়েন্টিতে যদি আপনার মনোযোগ থাকে তাহলে আপনার অন্য একটা ফরম্যাটে মনোযোগ বা পারফরম্যান্স খারাপ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। অনেক ভালো টেস্ট প্লেয়ার দেখবেন যারা টি-টোয়েন্টিতে মনোনিবেশ করছে টেস্টে তাদের পারফরম্যান্স হয়নি এবং তারা আস্তে আস্তে সরে আসছে। এটা খুবই ন্যাচরাল।’
‘অলরেডি তো রিয়াদ টেস্ট থেকে সরে আসছে, তামিম টি-টোয়েন্টি খেলছে না, মুশফিক এখনো খেলছে, বাট ওর চিন্তা-ভাবনা জানা যাবে, ও কি চিন্তা-ভাবনা করছে, আমরা জানতে পারবো।’
সাকিব রহস্য অজানা উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতি যোগ করেন,
‘সাকিবের ব্যাপারটা আবার এদের কারোর সাথে মিলে না। সাকিবের ব্যাপারটা বলাটা কঠিন। সব ফরম্যাটে সবাই ওকে চায়, কিন্তু ওকে পাওয়াটা কঠিন। আমরা আসলে নিজেরাই জানি না ও কোনটা খেলবে, কোনটা খেলবে না।’
‘ওর সাথে আমি যখন কথা বলি আমার মনে হয় ও সবগুলোই খেলতে চায়। কিন্তু আবার যখন খেলা আসে, তখন দেখা যায় ওর সমস্যা। কিছু না কিছু সমস্যা থাকে, এটা তো অস্বীকার করার উপায় নাই। সুতরাং আসলে ওরটা বলা একটু কঠিন।’