

পাকিস্তানের রাজনীতি ও ক্রিকেট একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। বলা চলে রাজনীতিবিদরাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা পিসিবিকে। ক্ষমতাবলে দেশটির প্রধান্মন্ত্রী হন পিসিবির প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের লোকই বসেন পিসিবির চেয়ারম্যান পদে। সেই ধারায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পিসিবির চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন তার ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য রমিজ রাজাকে।
এখন প্রধানমন্ত্রীত্ব নেই ইমরান খানের। আস্থা ভোটে ইমরান খানের সরকারকে হটিয়ে দায়িত্বভার নিয়েছে শেহবাজ শরিফের মন্ত্রীসভা।
নতুন সরকার পিসিবিতে নতুন নেতৃত্ব আনবে কিনা এই আলোচনা জোরেশোরে শুরু হয়েছে বেশ কদিন হল। তবে অনেকের চাওয়া সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেওয়া রমিজ রাজাকে তার মেয়াদের ৩ বছর পূর্ণ করতে দেওয়া হোক।
৪ বছর (১৯৯৯-২০০৩) পিসিবির শীর্ষ চেয়ারে ছিলেন তৈকির জিয়া। তার মতে রমিজ রাজাকে সরিয়ে দিলে দেশটির ক্রিকেট আগাবে না, বরং পিছিয়ে যাবে।
ক্রিকেটপাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৌকির জিয়া বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আমাদের খেলাধুলা, বিশেষ করে ক্রিকেট থেকে রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে আলাদা করা উচিত। পরিবর্তন আনার মানে হলো, নিজস্ব ধারণার বাস্তবায়ন করা। রমিজ রাজা দায়িত্ব পেয়েছেন ৫-৬ মাস হলো। এখন তাকে সরিয়ে যাকেই নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সে নিজের চিন্তা-ভাবনা সামনে নিয়ে আসবে, অনেক পরিবর্তন আনবে। এতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বদলে আরও পিছিয়ে যাবে পাকিস্তানের ক্রিকেট।’
ক্রিকেটাররা ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের সমস্যা বেশি বুঝবেন এমনটাই ধারণা করা হয়। রমিজ রাজা দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলার পর দিয়েছেন ধারাভাষ্য। এমন একজনকে দায়িত্ব পূর্ণ করতে দেওয়া সমীচীন বলে মনে করেন তৌকির জিয়া।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের বোর্ড চেয়ারম্যান হওয়া উচিত, এটাই সবাই বলে এসেছে। এখন যখন আমরা একজন চেয়ারম্যান পেলাম, যে কিনা সাবেক ক্রিকেটার। তাকে তো কাজ করার জন্য অন্তত ৩ বছর সময় দেওয়া উচিত।’