

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব লিগ পর্বে ১০ ম্যাচে জিতেছিল ৬ টি। সুপার লিগে এসে ৫ ম্যাচের ৪ টিই জিতেছে দলটি। একটু আগে থেকে ভালো না খেলতে পারার আক্ষেপ নিয়ে ৩য় হয়ে ডিপিএল (ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ) ২০২১-২২ শেষ করেছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৭৮ রানে হারিয়েছে তারা। দাপুটে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল, সেঞ্চুরি মিস করলেও লিস্ট এ ক্রিকেটে এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন এনামুল হক বিজয়।
View this post on Instagram
বিকেএসপির ৩ নম্বর গ্রাউন্ডে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ২১৫ রান। ১৩২ বলে ১৩ চার ও ৬ ছয়ে ১৩৭ রান করে থামেন তামিম। তিনে নেমে মুমিনুল হক করতে পারেননি ২০ রানের বেশি।
সেঞ্চুরির খুব কাছে যেয়ে ৪ রানের আক্ষেপে পোড়েন বিজয়। ৮৫ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৬ রান করে ফেরেন তিনি। শেষদিকে মোহাম্মদ মিঠুন, নাসির হোসেন, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, করিম জানাত ও শাহাদত দিপুর সম্মিলত প্রয়াসে রানের পাহাড় গড়ে প্রাইম ব্যাংক।
View this post on Instagram
৭ উইকেটে ৩৫৫ রানে থামে তারা। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের পক্ষে ৩ উইকেট নেন মেরাজ মাহবুব নিলয়। ২ উইকেট পান হুসনা হাবিব মেহেদী, ১ টি শিকার আরাফাত সানির।
জবাব দিতে নেমে আল আমিন জুনিয়র ও এসএম মেহেরব হোসেন ছাড়া গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কেউ বলার মত রান করতে পারেননি। আল আমিন জুনিয়র ৮৭ ও মেহেরব ৭১ রান করেন।
রুবেল-তাইজুলদের সামনে অসহায় গাজী গ্রুপ ৪৭.৫ ওভারে ২৭৭ রান তুলেই অলআউট হয়। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব জেতে ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে, ম্যাচসেরা হন তামিম ইকবাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৩৫৫/৭ (৫০), বিজয় ৯৬, তামিম ১৩৭, মুমিনুল ২০, মিঠুন ৩৯, নাসির ২০, রাব্বি ১২, করিম ২০, দিপু ৮*; নিলয় ৭-০-৫৪-৩, মেহেদী ১০-১-৮৩-২, সানি ৮-০-৬২-১
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ২৭৭/১০ (৪৭.৫), মারুফ ২৭, সানি ০, মাহমুদুল ২৪, আল আমিন জুনিয়র ৮৭, মেহেরব ৭১, আকবর ১৯, জহুরুল ১৫, নিলয় ৭*, মেহেদী ৭, আতিক ৪, জয়নুল ০; করিম ৮-০-৪৮-২, রুবেল ৯-০-৬৭-৩, রাকিবুল ৯.৩-১-৪২-২, তাইজুল ৯.৫-০-৫০-৩
ফলাফলঃ প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৭৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ তামিম ইকবাল (প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব)।