

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) প্রায় শেষের পথে। শিরোপার পথে বেশ এগিয়ে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সাথে কিছুটা লড়াইয়ে টিকে আছে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তবে আবাহনীর কাছে আজ (২৪ এপ্রিল) ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সে দূরত্বটা আরও কমানোর সুযোগ হাতছাড়া হল। ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে আরেক দফা ম্যাচ সেরা হলেন আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা আবাহনী নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেনের জোড়া ফিফটিতে পেয়েছিল ৭ উইকেটে ২৭৯ রানের পুঁজি। সাকিব আল হাসানের শিকার ৩ উইকেট।
জবাবে মোসাদ্দেকের স্পিন ভেল্কিতে শুরু থেকেই খেই হারানো লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ থামে ১৯৮ রানে। মোসাদ্দেকের ৪ উইকেট শিকারের দিনে সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে ভারতীয় অলরাউন্ডার চিরাজ জানির ব্যাটে।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় (৬) ও নাইম শেখ (২২) খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২৬ রান যোগ করে দলের বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে দেন শান্ত ও আফিফ।
৫৭ বলে ফিফটি তুলে আফিফ অবশ্য ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মুক্তার আলির বলে বোল্ড হয়েছেন ৭২ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৬২ রান করে।
আফিফ ফিরলেও সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন শান্ত। সাকিবকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে অবশ্য সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। তার আগে নামের পাশে ১০১ বলে ১০ চারে ৮৬ রান।
আফিফ-শান্তর বিদায়ের পরে আবাহনীর ইনিংস দাঁড়িয়েছে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন (২৮), তৌহিদ হৃদয় (২৪) ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের (৩০*) ছোট তবে কার্যকরী ইনিংসে ভর করে।
লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সাকিবের, ১০ ওভারে খরচ করেন ৫৩ রান। পেসার আল আমিনের শিকার ২ উইকেট।
২৮০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের দুই ওপেনার রাকিবুল হাসান ও সাব্বির রহমান উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৪৭ রান। তানভীর ইসলামের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে রাকিবুল (২৭) ফিরলে ভাঙে জুটি।
দ্রুতই ফিরে গেছেন সাকিব (৩) ও নাইম ইসলাম (৭), দুজনেই মোসাদ্দেকের শিকার। ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও সাব্বির ফিরেছেন ৩৮ রানে।
মোসাদ্দেকের তৃতীয় শিকার হয়ে ইরফান শুক্কুর থামেন ১ রানেই। ৭৯ রানেই ৫ উইকেট হারায় লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি মাশরাফিদের। মাঝে চিরাগ জানির ৪৮ ও শেষ দিকে তানবীর হায়দারের অপরাজিত ৩৬ রানে ১৯৮ পর্যন্ত যেতে পারে। মুক্তার আলির ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেওয়ার পথে মোসাদ্দেকের খরচ ৪০ রান। এ ছাড়া বাঁহাতি স্পিনার তানভীর নেন ৩৫ রান খরচায় ৩ উইকেট।