

পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সামনে ছিল শিরোপার আরও এক ধাপ কাছে যাবার সুযোগ। তবে ব্যাটে-বলে দাপুটে পারফরম্যান্সে তা হতে দেয়নি প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। সেঞ্চুরি মিসের হতাশা থাকলেও দলকে জিতিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তামিম ইকবাল।
বিকেএসপির ৪ নম্বর গ্রাউন্ডে টসে হেরে আগে ব্যাট করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দলটির শুরুটা হয় যাচ্ছেতাই, ৩০ রানেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব থেকে শেখ জামালে আসা মুশফিকুর রহিম যখন ৪র্থ ব্যাটার হিসাবে আউট হন, দলের রান তখন ৬৫। ১৪ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হন মুশফিক।
দলের রান ১০০ ছোয়ার আগে সাজঘরে যান আরও এক ব্যাটার। সেখান থেকে দলের ত্রাতা হয়ে আসেন নুরুল হাসান সোহান। পারভুজ রাসেলের সঙ্গে গড়েন ৬০ রানের জুটি। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ২৪ রানের। ১০৫ বলে ৯ চারে ৭১ রান করে থামেন তিনি
শেষদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৪৭ রান করলে দলের রান ২৩০ এর গন্ডি পার হয়। ৮ উইকেটে ২৩২ রানে থামে শেখ জামাল।
প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে ৩ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম, ২ উইকেট নেন রাকিবুল হাসান। ১ টি করে শিকার শরিফুল ইসলাম, করিম জানাত ও এনামুল হক বিজয়ের।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১২১ রান তুলে ফেলেন এনামুল হক বিজয় ও তামিম ইকবাল। ঢাকা লিগে এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়া বিজয় ৬৬ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৫২ রান করে আউট হন।
মারমুখী ভঙ্গিতে খেলা তামিম ইকবাল ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। তবে ৮৫ বলে ১০ চার ও ৪ ছয়ে ৯০ রান করে পারভেজ রাসুলের শিকারে পরিণত হন তিনি।
শাহাদাত হোসেন দিপু ৫২ ও মোহাম্মদ মিঠুন ৩১ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৫৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌছে যায় প্রাইম ব্যাংক।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ২৩২/৮ (৫০), সাইফ ১৩, রবি ০, ইমরুল ১৫, মুশফিক ১৪, সোহান ৭১, তাইবুর ৩, রাসুল ৩৭, মিরাজ ৪৭, জিয়া ১৫*, মৃত্যুঞ্জয় ৩*; শরিফুল ১০-১-৫৬-১, রাকিবুল ১০-১-৩৫-২, করিম ১০-০-৫১-১, তাইজুল ১০-১-৪২-৩, বিজয় ৩-০-২১-১
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ২৩৪/২ (৪০.২), বিজয় ৫২, তামিম ৯০, দিপু ৫২*, মিঠুন ৩১*; রাসুল ১০-০-৪৭-১, সাইফ ৩-০-২০-১
ফলাফলঃ প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ তামিম ইকবাল (প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব)।