

১ম ২ ম্যাচে হারের পর টানা ৩ ম্যাচে জয় পেয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। রাহুল ত্রিপাঠি ও এইডেন মার্করামের দাপুটে ইনিংসে কোলকাতা নাইট রাইডার্সকে (কেকেআর) তারা হারিয়েছে ৭ উইকেটে। বিফলে গেছে আন্দ্রে রাসেলের অলরাউন্ড নৈপুণ্য।
আইপিএলে অন্যতম ধারাবাহিক পারফরমার হিসেবে পরিচিত রাহুল ত্রিপাঠি। রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস, কেকেআর ও রাজস্থান রয়্যালস ঘুরে এবার নতুন দল হায়দ্রাবাদেও নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন তিনি। সাবেক দল কেকেআরের বোলারদের বিপক্ষে যেন এদিন অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছিলেন তিনি।
দলের দুই ওপেনার অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও অভিষেক শর্মা ব্যর্থ হলেও ত্রিপাঠি ছিলেন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। মাত্র ২১ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর ৩৭ বলে খেলেছেন ৭১ রানের অসাধারণ ইনিংস। ছিল ৪টি চার ও ৬টি বিশাল ছক্কা। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও যায় তার দখলে।
তাকে যোগ্য সহায়তা দেন মার্করাম। দুইজনের মধ্যকার ৯৪ রানের দুর্দান্ত জুটিই ম্যাচ জয়ে বড় ভূমিকা রাখে। ১৩ বল বাকি থাকতে জয় পেয়ে যায় হায়দ্রাবাদ। মার্করাম ৩৬ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৬৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
কেকেআরের পক্ষে আন্দ্রে রাসেল ২ উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিতিশ রানা অর্ধশতক ও রাসেলের মারকুটে ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে ৮ উইকেটে ১৭৫ রান করে কেকেআর। ৩৬ বলে ৫৪ রান আসে রানা ব্যাট থেকে। রাসেল ২৫ বলে ৪টি করে চার ও ছয়ে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
হায়দ্রাবাদের পক্ষে থাঙ্গারাসু নটরাজন ৩টি ও উমরান মালিক ২ উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
কোলকাতা নাইট রাইডার্সঃ ১৭৫/৮ (২০), ভেঙ্কটেশ ৬, ফিঞ্চ ৭, শ্রেয়াস ২৮, নারাইন ৬, রানা ৫৪, জ্যাকসন ৭, রাসেল ৪৯*, কামিন্স ৩, আমান ৫, উমেশ ১*; ভুবনেশ্বর ৪-০-৩৭-১, জেনসেন ৪-০-২৬-১, নটরাজন ৪-০-৩৭-৩, উমরান ৪-০-২৭-২, সুচিথ ৩-০-৩২-১
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদঃ ১৭৬/৩ (১৭.৫), অভিষেক ৩, উইলিয়ামসন ১৭, ত্রিপাঠি ৭১, মার্করাম ৬৪*, পুরান ৫*; কামিন্স ৩.৫-০-৪০-১, রাসেল ২-০-২০-২,
ফলাফলঃ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ রাহুল ত্রিপাঠি (সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ)।