

ইংল্যান্ডের দুইবারের নারী বিশ্বকাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরের বিজয়ী আনিয়া শ্রাবসোল ১৪ বছরের দীর্ঘ এক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও রাচেল হেইহো ফ্লিন্ট ট্রফি, শার্লট এডওয়ার্ডস কাপ এবং দ্য হান্ড্রেড-এ ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাবেন এই পেসার।
৩০ বছর বয়সী শ্রাবসোল আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২২-এ ইংল্যান্ডকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার পথে বল হাতে মোট ৯টি উইকেট শিকার করেছিলেন। টুর্নামেন্টে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে এসেছিল, যেখানে ইংল্যান্ড ৭১ রানে পরাজিত হলেও ৪৬ রান খরচায় ৩টি উইকেট দখলে নেন শ্রাবসোল।
অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে, শ্রাবসোল এক বিবৃতিতে বলেছেন,
‘গত ১৪ বছর ধরে আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান বোধ করছি। নারীদের ক্রিকেটে জড়িত হওয়া একটি সম্মানের বিষয় হয়ে উঠেছে। আমার কাছে স্পষ্ট যে এটি (ক্রিকেট) আমার সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তাই আমার সরে যাওয়ার সময় এসেছে।’
‘আমি কখনোই স্বপ্নে ভাবিনি যে আমি এতদিন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার জন্য যথেষ্ট ভাগ্যবান হব, ক্রিকেটের মাধ্যমে আমি খুশি হব। পথে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে তবে তা হওয়া আসলেই দরকার ছিল। ফলে ২০১৭ সালে লর্ডসে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ তুলতে সক্ষম হয়েছি।’
শ্রাবসোলকে দীর্ঘ এবং ফলপ্রসূ ক্রিকেটজীবন জুড়ে সমর্থন করার জন্য তাঁর পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন,
‘এমন অনেক লোক আছে যারা আমাকে পুরো পথ ধরে সমর্থন করেছে এবং আমি যা কিছু করেছি তার জন্য আমি তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তবে সবচেয়ে বেশি, আমি আমার পরিবারের অটল সমর্থন ছাড়া এই পথ পাড়ি দিতে পারতাম না। প্রতিটি পদক্ষেপে এবং আমি তাঁদের ছাড়া এটি করতে পারতাম না।’
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের হোম সিরিজে ইংল্যান্ড দলে অভিষেক হয় সমারসেটে জন্মগ্রহণকারী আনিয়া শ্রাবসোলের। টি-টোয়েন্টির অভিষেক ম্যাচেই তিনি ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করে ইংল্যান্ডকে জয়ী করেছিলেন। এক বছর পর, ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েই করেন বাজিমাত।