পন্টিংয়ে অনুপ্রাণিত মুস্তাফিজ নতুন দল দিল্লিতে খুশি

পন্টিংয়ে অনুপ্রাণিত মুস্তাফিজ নতুন দল দিল্লিতে খুশি
Vinkmag ad

এর আগে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা মুস্তাফিজুর রহমান এবারের আইপিএল খেলছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। এখন অব্দি মুস্তাফিজ ৩ ম্যাচ খেলে ৩ উইকেট পেয়েছেন নতুন দলের হয়ে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মুস্তাফিজ জানিয়েছেন তার অভিজ্ঞতা।

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে মুস্তাফিজের অভিষেক মৌসুমে অধিনায়ক হিসাবে ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, গেলবছর রাজস্থান রয়্যালস শিবিরে জুটি বেধে বল করেছেন চেতন সাকারিয়ার সঙ্গে। নতুন দল হলেও চেনা সতীর্থদের উপস্থিতিতে নিজেকে নতুন লাগছে না মুস্তাফিজের।

মুস্তাফিজ বলেন, ‘অভিজ্ঞতা বলতে এখানে অনেকের সাথেই আমি কমবেশি খেলাধুলা করেছি। এক দলে না খেললেও বিপক্ষ দলে ছিল। শেষ মৌসুমে আমি চেতন সাকারিয়ার সাথে এক দলে খেলেছি। ডেভিড ওয়ার্নার ২ বছর ছিল একই দলে। সবমিলে ভালো (অভিজ্ঞতা)।’

দিল্লি ক্যাপিটালস এখন অব্দি খেলেছে ৪ ম্যাচ। যার মধ্যে ২ টিতে জয় ও ২ টিতে আছে পরাজয়। পয়েন্ট টেবিলে ৬ নম্বরে অবস্থান করলেও মুস্তাফিজ বলছেন ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ব্যালান্সড তাদের দল।

‘আমরা দুইটা জিতেছি, দুইটা হেরেছি। আমাদের ব্যালান্স এমনিতে খুবই ভালো। ব্যাটিং বলেন, বোলিং বলেন- ভালো ভালো খেলোয়াড় আমাদের দলে আছে। তো ওভারঅল আমাদের খুব একটা ভালো ব্যালান্স দল।’

আইপিএল নিলাম বর্তমান সময়ে প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্যই বড় এক সুযোগের নাম। নিলামের সময় সবার চোখ থাকে টিভি স্ক্রিনে। মুস্তাফিজ অবশ্য এবারের নিলাম দেখতে পারেননি বিপিএলে খেলা চলার কারণে।

‘নিলামের সময় আমি দেখি নাই। আমাদের খেলা চলছিল (বিপিএল) ঐসময়। ঐসময় আমাদের দল ব্যাটিং করছিল, আমি ডাগআউটে ছিলাম। একজন দেখার পর আমাকে বলল ‘ফিজ তুই দিল্লি ক্যাপিটালসে। তো ভালো লেগেছে যে নতুন দল। আমি এর আগে তিনটা দলে খেলেছি, এবারে নতুন দলে।’

প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেট পাবার পর দল হারলেও ড্রেসিংরুমে তাকে ম্যাচসেরার পিন দেন কোচ রিকি পন্টিং। যা অনুপ্রাণিত করেছে মুস্তাফিজকে, দিল্লি ক্যাপিটালসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি। তিনি জানান নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়েই ভালো করার চেষ্টা করেন তিনি।

মুস্তাফিজ বলেন, ‘এটা শুধু আমার জন্য না, প্রতিটা খেলোয়াড়ের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। ম্যাচ হারি বা জিতি আপনি যদি ভালো পারফর্ম করেন, ড্রেসিংরুমে সবার সামনে ভালো ভালো কথা, বা যেদিন যে ভালো করছে তার সম্মানটা দেওয়া, তাকে সামনে/আগে নিয়ে আসা। এটা আমার কাছে মনে হয় খুবই ভালো।’

‘ভালোর তো শেষ নেই, আমি যখনই খেলতে নামি চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেবার।’

বাবোলে বন্ধু বান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই সময় কাটছে মুস্তাফিজের। দেশবাসীর কাছে নিজের ও দলের জন্য চেয়েছেন দোয়া।

‘সাধারণত আমার বন্ধু আছে, ফ্যামিলি, বাড়িতে কথা বলি। বেশিরভাগ সময় ফোনে কথা বলা হয় বেশি।’

‘আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেনো আরও ভালো খেলা উপহার দিতে পারি। দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে থাকুন, যাতে আরও ভালো খেলা আমরা উপহার দিতে পারি।’

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

গুজরাটকে ১ম পরাজয়ের স্বাদ দিল হায়দ্রাবাদ

Read Next

মুমিনুল বলছেন ‘দুই-একটা’, পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা

Total
0
Share