

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের পর অনেকের চোখেই বদলে গিয়েছিল বাংলাদেশ দলের টেস্ট খেলার মান। তবে একটু পরিসংখ্যানে চোখ বুলালে দেখা যায় টাইগারদের অবস্থান আছে আগের মতোই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ধবল ধোলাই হয়ে অধিনায়ক মুমিনুল হকও বলছেন একই কথা।
বেশি দূরে না গিয়ে ২০২১ সাল থেকে হিসেব করলেই টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই সময়ে টাইগারদের খেলা ১১ টেস্টে জয় কেবল দুইটি। যেখানে মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া জয়ের বাইরে বাকি জয়টি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে।
বাকি ৯ ম্যাচের একটিতে ড্র, বাদ বাকি ৮ ম্যাচে হারতে হয়েছে বেশ বাজেভাবে। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর অনেকের চোখেই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। ডারবান টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ ও পোর্ট এলিজাবেথে ৮০ রানে অলআউট হতে হয়েছে।
এই দুই টেস্টে ব্যাটারদের ব্যাটিং ধরণ দেখে বোঝারই উপায় ছিল না কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের ব্যাটার। ৩৩২ রানের বিশাল ব্যবধানে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট হেরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হক বলছেন টেস্টে ক্রিকেটে বাংলাদেশের উন্নতি করতে হবে আরও। বরং মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জিতে সব কিছু বদলে গেছে এমন ভাবনাকেও ভুল বলে স্বীকার করছেন।
তিনি বলেন,
‘টেস্ট ক্রিকেট এমন একটা খেলা দল হিসেবে প্রতিদিনই উন্নতি করতে হবে। আপনি এক সেশন ভালো খেললে হবে না অথবা ৫ দিনের মধ্যে তিনদিন ভালো খেললে হবে না। পাঁচদিনই ভালো খেলতে হবে। আপনি হয়তো একটা সেশন ভুল করতে পারেন, দুইটা সেশন ভুল করতে পারেন পাঁচদিনের মধ্যে। প্রত্যেকটা সেশনই ভালো করতে হবে। আমাদের কাছে মনে হয় এসব জায়গায় আরও উন্নতি… টেস্ট ক্রিকেট আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’
‘আপনারা হয়তো এমনভাবে বলছেন যে কারণ আমরা হয়তো একটা টেস্ট (মাউন্ট মঙ্গানুই) জেতাতে আমরা হয়তো বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল হয়ে গেছি। আমার কাছে মনে হয় টেস্ট ম্যাচ জেতার আগেও যে জায়গায় ছিলাম ওই জায়গাতেই আছি। হয়তো আপনাদেরও প্রত্যাশা বেড়েছে, আমাদেরও। বেড়েছে। আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের উন্নতি করার আরও অনেক জায়গা আছে। অনেক জায়গায় উন্নতি করতে হবে আমাদর।’
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের আগের ১০ টেস্টে এক জয় (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে)। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের পরের তিনটিতেও বেশ বাজেভাবে হার। তবে কি ঐতিহাসিক জয়টিকে ফ্লুক বলা যায়?
মুমিনুল অবশ্য সেটা মানতে নারাজ। টেস্ট ম্যাচে পাঁচদিন এগিয়ে থেকে একটা জয়কে ফ্লুক বলতে তার আছে আপত্তি। যদিও কেউ ফ্লুক বলতে চাইলে সেটা তার হাতে নেই বলেও জানান।
‘দেখেন ওখানকার কন্ডিশন ও এখানকার কন্ডিশন ভিন্ন। আপনি ফ্লুক বলবেন কীনা এটা আপনার হাতে আমার হাতে নাই। টেস্ট ম্যাচে পাঁচ দিন ভালো খেলা ফ্লুক কীনা এটা আপনারা আমার চেয়ে ভালো জানেন। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের কন্ডিশন ও এখানকার কন্ডিশন ভিন্ন। আপনি কোনোটার সাথে কোনোটা মেলাতে পারবেন না।’