

হাতে ৭ উইকেট, জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৮৬, সময় দুই দিন। এমন সমীকরণে টেস্ট জেতা কিংবা ড্র করা অসাধ্য। যেখানে প্রতিপক্ষ স্পিনাররা ভালোভাবেই চাপে রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতেই চতুর্থ দিন শুরু থেকে এলোমেলো শট খেলার প্রবণতায় টাইগার ব্যাটাররা। এক ঘন্টায় ৫৩ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউট ৮০ রানে। ৩৩২ রানে হেরে অধিনায়ক মুমিনুল হক বলছেন এবার গড়মিল করেছেন উপরে-নিচে খেলার পরিকল্পনায়।
প্রোটিয়া দুই স্পিনার কেশব মহারাজ ও সিমন হারপার যে দাপট দেখাচ্ছিলেন তাতে ভিন্ন পরিকল্পনায় যায় বাংলাদেশ। ৪১৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আগেরদিনই ২৭ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় দুজনের স্পিন বিষে নীল হয়ে।
ফলে আজ চতুর্থ দিন রান বের করতে উইকেটের চারদিকে খেলার পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ। কিন্তু যা হীতে বিপরীত হয়ে আসে। স্কয়ার অব দ্য উইকেটে ঠিকই খেলেছে টাইগার ব্যাটাররা কিন্তু সেটি মাটিতে না খেলে হাওয়ায় ভাসিয়ে। আর তাতেই নিশ্চিত সর্বনাশটা একটু দ্রুতই হয়েছে।
মুশফিকুর রহিম ইনসাইড আউট, মুমিনুল হক সুইপ, ইয়াসির আলি রাব্বি স্লগ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন মহারাজ ও হারমারের বলে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল জানিয়েছেন আজকের এমন এলোমেলো ব্যাটিংয়ের পেছনে কারণ।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় প্রয়োগ ঠিক ছিল, আমার ও রাব্বির আউট যেটা ছিল সেটা উপর দিয়ে মারা ঠিক হয়নি। যেহেতু বল স্পিন করে আমার কাছে মনে হয় স্কয়ার অব দ্য উইকেট খেলা ভালো। আমি আগেও বলেছি, স্কয়ার দ্য উইকেট উপরে না খেলে নিচে খেলা দরকার ছিল। আমাদের হয়তো উপরের অপশনটা নেওয়া ঠিক হয়নি, নিচের অপশনটা নেওয়া উচিৎ ছিল।’
ম্যাচে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ তাতে ম্যাচ বাঁচানো অসাধ্যই ছিল। কিন্তু নূন্যতম লড়াইটুকুও যে করতে পারেনি টাইগাররা। এর ব্যাখ্যা কি?
মুমিনুল বলছেন, ‘ব্যাখ্যা একটাই ভাই, আমরা খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। এটাই আর কিছু না। আমার কাছে মনে হয় বাজে ব্যাটিং করেছি আমরা। দল হিসেবে আমরা ওভাবে খেলতে পারিনি।’
এমনকি প্রতিপক্ষের চেয়ে কোনো দিক দিয়ে পিছিয়েও রাখছেন না টাইগার টেস্ট কাপ্তান, ‘কোনো দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিলাম না। আমার মনে হয় আমরা দল হিসেবে খেলতে পারিনি। প্রথম টেস্টে আমরা হেরেছি কিন্তু আপনি দেখেন প্রথম ইনিংসে আমরা দল হিসেবে ভালো ব্যাটিং করেছি। ঐ জিনিসগুলো পুনরাবৃত্তি করতে পারিনি, সেশন বাই সেশন ব্যাটিং করা, লম্বা সময় টিকে থাকা…এ জিনিসগুলো মিসিং ছিল।’