স্পিনে ব্যর্থ হওয়ার দুঃখ সুজনের, মন ভরাতে পারেনি তাইজুল-মিরাজ

শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর খালেদ মাহমুদ সুজন
Vinkmag ad

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেই বড় হারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। ডারবানের পর এখানেও প্রোটিয়া স্পিনে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাটারদের। একদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে খেলা অন্যদিকে নিজেরা ভালো স্পিন খেলে অভ্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতেও স্পিন সামলাতে না পারাটা দুঃখজনক বলছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।

ডারবানে ২২০ রানে হারা ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। যেখানে বল হাতে যা করার দুই প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মহারাজ ও সিমন হারমার করেছেন। কেশব ৭ ও হারমারের পকেটে ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে কেশব উইকেট না পেলেও হারমারের শিকার ৪ উইকেট। অর্থাৎ দুই ইনিংসে বাংলাদেশের হারানো ২০ উইকেটের ১৪ টিই স্পিনারদের।

চলমান পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে আগে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকা তাইজুল ইসলামের ৬ উইকেটের পরও প্রথম ইনিংসে তোলে ৪৫৩ রান। জবাবে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২১৭ রানে। কেশব ও হারমারের যথাক্রমে শিকার ২ ও ৩ উইকেট।

ফলো অনে পড়লেও তা করায়নি প্রোটিয়ারা। বরং ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ৪১৩ রানের। মাত্র ৯.১ ওভার ব্যাট করে ২৭ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। তিনটি উইকেটই কেশব ও হারমারের। শেষ দুই দিনে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে তুলতে হবে ৩৮৬ রান। যা অসম্ভব কঠিন পথ, শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানের হারই হয়তো সঙ্গী হচ্ছে।

তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ণ করতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে টিম ডিরেক্টর সুজন বলেন, ‘আমার যেটা অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলের সাথে সেটা হল কেন জানি সিরিজের শেষ ম্যাচগুলো আমরা খারাপ খেলি। এই টেস্ট শুরুর আগে আমি এটা নিয়ে কথাও বলেছি যে এটাই আমাদের শেষ সুযোগ দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজটা ড্র করার। আমাদের আরেকটা সুযোগ আছে। জয় পরাজয় তো খেলারই অংশ। কিন্তু প্রক্রিয়াটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি, উইকেটে থাকা।’

‘নিউজিল্যান্ডে আমাদের সাফল্যের মূল কারণ ছিল প্রথম ইনিংসে লম্বা সময় ক্রিজে থাকা। ওটা ছিল মূল বিষয়। এখানে ব্যর্থ হওয়ার পেছনে এটাই কারণ। ভালো করতে পারিনি, আমি জানিনা কেন? নিউজিল্যান্ডে তো একটা কারণ ছিল, পেস বোলারদের বিপক্ষে সিমিং উইকেটে একটু কঠিন। কিন্তু এখানে স্পিন কেন সামলাতে পারলাম না এটাই আমাদের জন্য বেশি দুঃখ। যেখানে স্পিনে আমরা মনে করি আরও ভালো ক্রিকেট খেলি।’

শুধু ব্যাটাররা নয় সুজনের চোখে উইকেট পেলেও ভালো বল করা কিংবা প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার কাজটা করতে পারেনি তাইজুল, মিরাজরা। পেসারদের পারফরম্যান্স, পরিকল্পনাও ঠিকঠাক প্রয়োগ হয়নি বলছেন সাবেক এই অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পিনাররাও যে তাদের ব্যাটারদের খুব একটা সমস্যায় ফেলতে পেরেছে (তা না)… হ্যাঁ তাইজুল পাঁচ উইকেট নিয়েছে, মিরাজ ভালো বল করেছে। কিন্তু মহারাজ কিংবা হারমার যতটা সমস্যায় ফেলেছে আমাদের ব্যাটারদের সে অর্থে আমাদের স্পিনাররা অতটা সমস্যায় ফেলতে পারেনি ওদের ব্যাটারদের। তাদের পেসারদের কথা যদি বলি লাইন, লেংথে শৃঙ্খলা ছিল, একটা সেটল প্ল্যান করেছে।’

‘আমরাও কিন্তু প্ল্যান করেছি প্রয়োগের যথেষ্ট অভাব ছিল আসলে। আমাদের যেটা হয়েছে গত টেস্টেও, এই টেস্টেও প্রথম দুই ঘন্টায় আমরাযেভাবে বল করার সেভাবে করতে পারিনি। এখান থেকেই আসলে ম্যাচ অনেক দূরে সরে গেছে। ঐ সকালে যদি শুরুর দিকেই আমরা দুইটা উইকেট নিতে পারতাম তাহলে এটা ভিন্নরকম কিছু হতে পারতো।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

ইকোনমিকাল মুস্তাফিজের দিনে দিল্লির জয়

Read Next

রোমাঞ্চকর ম্যাচে লখনৌকে হারাল রাজস্থান

Total
0
Share