

হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন মাত্র ৫৩ রান, শেষ ওভারে যে সমীকরণ দাঁড়ায় মাত্র ৭। তবে এনামুল হক বিজয়ের আরও একটি দারুণ ইনিংসের পরও এমন ম্যাচে পরাজিত দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ফলে বৃথা যায়নি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে মেহেদী মারুফের হাঁকানো সেঞ্চুরি।
মারুফের ১১৮ রানে ভর করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স পেয়েছিল ৯ উইকেটে ২৫৬ রানের পুঁজি। যা তারা করতে নেমে বিজয় ৮৬ ও ৩ নম্বরে নামা ভারতীয় অভিমন্য ইশ্বারনের ৫৭ রানের পরও খেই হারায় প্রাইম ব্যাংক, হেরেছে ৪ রানে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ওপেনার মেহেদী মারুফ এক পাশ আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে ব্যর্থ মাহমুদুল হাসান (৯), ফরহাদ হোসেন (১০)। ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ানো এনামুল হক পেস বোলিং করে ফেরান ফরহাদকে।
৬৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর আল আমিন জুনিয়রকে নিয়ে ৮২ রানের জুটি মারুফের। ৪৪ বলে ৩৫ রান করে আল আমিন আউট হলে ভাঙে জুটি। এপর গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে একাই টেনে নেন মারুফ।
সেঞ্চুরি তুলে ৭ম ব্যাটার হিসেবে ফিরেছেন ১৪০ বলে ১৩ চার ৩ ছক্কায় ১১৮ রান করে। এরপরও দল ২৫৬ পর্যন্ত যেতে পারে জহরুল ইসলামের ১৮ ও শেষদিকে একেএম হুসনা হাবিবের অপরাজিত ১০ রানে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেসার রেজাউর রহমান রাজার।
জবাবে ৮,২ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান প্রাইম ব্যাংক দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও শাহাদাত হোসেন দিপুর। ২০ বলে ২২ রান করে আউট হন দিপু।
৩ নম্বরে নামা অভিমন্যুকে নিয়ে ১১৭ রানের জুটি বিজয়ের। ৭১ বলে ৫ চারে ৫৭ রান করে মাহমুদুল হাসানের বলে বোল্ড হন অভিমন্যু। ১ রানের ব্যবধানে ফিরেছেন বিজয়ও। টুর্নামেন্টে ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ব্যাটার ১০০ বল খেলে ৪ চার ৩ ছক্কায় ৮৫ রান করে একই ওভারে আউট হন।
৮ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তবে নাসির হোসেন ও নাহিদুল ইসলামের ব্যাটে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪০ ওভার শেষে ২০৪ রান উঠে যায় প্রাইম ব্যাংকের স্কোরবোর্ডে।
জয়ের জন্য ৬০ বলে প্রয়োজন ৫৩, হাতে ৬ উইকেট। কিন্তু নাসির (১৫), নাহিদুল (৩৪) সহ দ্রুত আরও ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। শেষ ওভারে সমীকরণ ৭, ক্রিজে থাকা শেষ দুই ব্যাটার রুবেল হোসেন (২*) ও মনির হোসেন (১৪) নিতে পারেন কেবল ২ রান। ওভারের শেষ ৪ বল মোকাবেলা করে রুবেল নিতে পারেননি কোনো রান।
৪ রানে জয় পাওয়া ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ টি করে উইকেট একেএম হুসনা হাবিব ও রাকিবুল আতিকের। ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স আছে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম অবস্থানে। দুই নম্বরে থাকা প্রাইম ব্যাংকের ৯ ম্যাচে ৬ জয়।