

জয়রথ ছুটেই চলেছে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনৌ সুপার জায়ান্টসের। কুইন্টন ডি ককের চিত্তাকর্ষক ব্যাটিংয়ে চড়ে দিল্লি ক্যাপিটালসকে তারা হারিয়েছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। ১ম ম্যাচে হারলেও পরের ৩ ম্যাচেই জয় পেয়েছে লখনৌ। ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ২৬ রান দিলেও কোন সাফল্য পাননি দিল্লি ক্যাপিটালসের মুস্তাফিজুর রহমান।
১৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের সাথে শুরুতে ৭৩ রানে জয়ের রাস্তা প্রশস্ত করেন ডি কক। রাহুল ২৪ ও তিনে নামা এভিন লুইস মাত্র ৫ রানে বিদায় নিলেও ডি ককের ব্যাটিং ছিল সাবলীল।
দলীয় ১২২ রানে ৩য় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮০ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ডি কক। ৫২ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছয়ের মার। শেষদিকে মুস্তাফিজ ও শারদুল ঠাকুরের কল্যাণে দিল্লির জয়ের আভাস কিছুটা দেখা দিলেও ক্রুনাল পান্ডিয়া ও আয়ুশ৷ বাদোনির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২ বল বাকি থাকতে জয় পেয়ে যায় লখনৌ। ক্রুনাল ১৯ ও বাদোনি মাত্র ৩ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
দিল্লির পক্ষে কুলদ্বীপ যাদব ২ উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পৃথ্বী শ-এর আক্রমণাত্মক হাফ সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ৩ উইকেটে ১৪৯ রানের বেশি করতে পারেনি দিল্লি। ৩৪ বলে ৯ চার ও ২ ছয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন পৃথ্বী। এছাড়া অধিনায়ক রিশাব পান্ট ৩৯ ও সরফরাজ খান ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
লখনৌর পক্ষে রবি বিষ্ণয় ২ উইকেট পান।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার যায় ডি ককের ভাগ্যে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৪৯/৩ (২০), পৃথ্বী ৬১, ওয়ার্নার ৪, পাওয়েল ৩, পান্ট ৩৯*, সরফরাজ ৩৬*; গৌতম ৪-১-২৩-১, বিষ্ণয় ৪-০-২২-২,
লখনৌ সুপার জায়ান্টসঃ ১৫৫/৪ (১৯.৪), রাহুল ২৪, ডি কক ৮০, লুইস ৫, হুডা ১১, ক্রুনাল ১৯*, বাদোনি ১০*; ললিত ৪-০-২১-১, শারদুল ৩.৪-০-২৯-১, কুলদ্বীপ ৩.৪-০-৩১-২
ফলাফলঃ লখনৌ সুপার জায়ান্টস ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ কুইন্টন ডি কক (লখনৌ সুপার জায়ান্টস)।