

১৩৩ বছরের পুরোনো পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ পার্ক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্ট। এবারই প্রথম এই মাঠে টেস্ট খেলবে মুমিনুল হকরা। কেমন হতে পারে এখানকার কন্ডিশন সে সম্পর্কে বিস্তর ধারণা দিলেন টাইগারদের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
ডোনাল্ড নিজে দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার। সে হিসেবে এই মাঠ সম্পর্কে তার জানাশোনা অন্য অনেকের চেয়ে বেশি। পোর্ট এলিজাবেথে খেলা ৭ টেস্টেই যে তার পকেটে ৪০ উইকেট।
আগামীকাল (৮ এপ্রিল) ম্যাচ সামনে রেখে ইতোমধ্যে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। গতকাল (৬ এপ্রিল) অনুশীলন শেষে বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় কথা বলেন ডোনাল্ড।
পোর্ট এলিজাবেথে পেসারদের লড়তে হয় বাতাসের সাথে। দিনের কোন সময় বাতাস কেমন হতে পারে ডোনাল্ড দিয়েছেন সে বার্তা।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে পোর্ট এলিজাবেথের প্রচন্ড বাতাসের সাথে লড়তে হবে। এটি সাড়ে ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা এই সময়ে স্কোরবোর্ডের উপর দিয়ে আসতে থাকে। বিকেলের দিকে যা ঘন্টায় ৪০-৪৫ কিলোমিটার বেগে ওঠে।’
‘স্কোরবোর্ড থেকে অনেকটা ওয়াইন্ড টানেলের মতো ঘূর্ণায়ণ থাকে। একজন বোলার হিসেবে কখনো আপনার মনে হব এটি আপনার পক্ষে আবার কখনো মনে হবে বিপক্ষে।’
‘আমরা আমাদের ফিল্ডিং নিয়ে কথা বলছিলাম, হাই ক্যাচিং, দ্রুত সঠিক পজিশন খুঁজে পাওয়া এসব নিয়ে। এখানকার জন্য হাই ক্যাচিং হচ্ছে মূল দক্ষতা। আমাদের অনেক স্পাইরাল ক্যাচিং, লং ক্যাচিং অনুশীলন করতে হবে।’
এই মাঠে নিজের খেলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সাদা বিদ্যুৎ খ্যাত সাবেক তারকা পেসার ডোনাল্ড যোগ করেন, ‘এটি দক্ষিণ আফ্রিকা প্রাচীন টেস্ট ভেন্যু। এটি ঐতিহ্যবাহী চমৎকার একটি টেস্ট ভেন্যু। আমি এখানকার ব্যান্ড ও লোকসমাগমের সামনে খেলতে পছন্দ করি।’
‘এখানে অনেক দলের বিপক্ষে আমার স্মৃতি আছে। এটি এমন একটা উইকেট যেখানে আপনি কখনোই খেলার বাইরে থাকবেন না। সবসময় কিছু না কিছু ঘটছে।’
মাঠের বৈশিষ্ট্যের কারণে পেসারদের ভালো করতে সৃজনশীল হতে হবে বলে জানান টাইগার পেস বোলিং কোচ।
তার মতে, ‘এটা এমন একটা মাঠ যেখানে বোলার হিসেবে আপনাকে সৃজনশীল হতে হবে। ইনিংস যত গড়াবে তত উইকেট ফ্ল্যাট হবে। পেস বোলারের দৃষ্টিকোণ থেকে সবসময় আপনাদের মাঝে কিছু একটা থাকতে হবে। আপনাকে হাত তুলতে হবে এবং সাহসী হতে হবে। চেষ্টা করতে হবে ভিন্ন কিছু করার।’