

২০১৭ সালে আজকের দিনে হুট করেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ক্রিকেটেরই অন্যতম রহস্যময় ঘটনা হিসেবে যা আলাদা আলোচনার জায়গা তৈরি করে। ৫ বছর পর একই দিনে মাশরাফি মাঠে, বল হাতে দল জিতিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তবে নিজের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অবসরের দিনটি অবশ্য ভুলেই গিয়েছিলেন।
শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল স্বাগতিকদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস করতে নেমেই অবসরের ঘোষণা দেন মাশরাফি। যা ধারাভাষ্যকার থেকে দর্শক, ভক্ত সমর্থকদেরও অবাক করে। এ নিয়ে জোর গুঞ্জনও ওঠে পরে যে মাশরাফিকে টি-টোয়েন্টি ছাড়তে বাধ্য করে টিম ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাশরাফি নিজেও আভাস দেন তেমন কিছুর।
এতো দিনে কেটে গেছে পাঁচ বছর। ২০২০ সালে ছেড়েছেন ওয়ানডে অধিনায়কত্বও, কিন্তু ওয়ানডে থেকে নেননি অবসর। নির্বাচকরাও খেলোয়াড় হিসেবে তাকে আর বিবেচনা করেননি। জাতীয় দলের জার্সিতে তার ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন। বিপিএলের সাথে খেলছেন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল)।
চলমান ডিপিএলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। বল হাতে প্রতি ম্যাচেই নিচ্ছেন উইকেট। আজ খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির বিপক্ষে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
পরে মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নানা বিষয়ে। যেখানে আন্তর্জাতি টি-টোয়েন্টিতে অবসরের দিনে ম্যাচ সেরা হওয়ার প্রসঙ্গো ওঠে। মাশরাফির সোজা সাপ্টা উত্তর দিনটা আলাদা করে তার মাথায় ছিল না।
টাইগারদের অন্যতম সফল অধিনায়ক বলেন, ‘অবসরের কথা মনে আছে, দিনটা যে আজকে তা খেয়াল ছিল না।’
বল হাতে এবারে ডিপিএলে এখনো পর্যন্ত ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১২ উইকেট। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৬ এর নিচে। তার দল লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেট শিকারি।
বল হাতে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে মাশরাফি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলে তো খেলছি বোলার হিসেবে তো ঐ দায়িত্ব তো আলাদাভাবে নিতেই হয়। আর উইকেট পেলে ভালো লাগে, প্রায় সব ম্যাচেই উইকেট পেয়েছি। এটা আমার জন্য ভালো হয়েছে।’
ক্যারিয়ার জুড়ে চোটের সাথে সংগ্রাম করা মাশরাফি আরেক দফা সার্জারিতে যেতে হত। গত বিপিএলের পর থেকেই ভুগছেন পিঠের চোটে। ভারতে গিয়ে দিন কয়েক আগে চিকিৎসাও নিয়ে এসেছেন। কিন্তু ডিপিএল খেলবেন বলে চিকিৎসকের পরামর্শে এখনই সার্জারির পথে যাননি। তবে এই ব্যথা নিয়ে খেলছেন বলে ঝুঁকিও থেকে যায় বলে জানান মাশরাফি।
‘বিপিএলের সময় যেহেতু ব্যাক ইনজুরি ছিল একটা ভয় এখনো আছে। ওটা এখনো ক্যারি করছি, ডিস্কের সমস্যা তো, কখন বাড়ে এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকি সবসময়। তবে যেভাবে চলছে এভাবে খেলতে পারলে ভালো হবে।’