

চলতি বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) ২০২১-২২ এ লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলা ভারতীয় অলরাউন্ডার চিরাগ জানি পারফর্ম করে চলেছেন ধারাবাহিকভাবে। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতির বিপক্ষে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল জিতেছে ২ উইকেটে।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে অবস্থান লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। ৮ ম্যাচে ৭ পরাজয়ে খেলাঘরের অবস্থান টেবিলের তলানিতে (১১তম)।
টস হেরে আগে ব্যাট করা খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি মাশরাফির ৪ ও চিরাগের ৩ উইকেট শিকারের দিনে করতে পারেনি ১৯৮ রানের বেশি। সর্বোচ্চ ৫৯ রান আসে অমিত মজুমদারের ব্যাটে।
জবাবে ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠে চিরাগ, খেলেন ৭২ রানের ইনিংস। শেষদিকে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস তানবীর হায়দারের ব্যাটে। তাতে শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে জয় নিশ্চিত হয় লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ওপেনার ইরফান শুক্কুর (০) ও সাব্বির হোসেনকে (৩) হারায় লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। সেখান থেকে নাইম ইসলামকে নিয়ে ৯০ রানের জুটি চিরাগের। ৭৮ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় ৭২ রান করে আউট হন চিরাগ। লিগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নাইমের ব্যাটে ৬১ বলে ২৪ রান।
সাব্বির রহমানও (২) আরেক দফা ব্যর্থ হলে ১১১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এরপর দলের জয়ের পথে বাকি কাজ অনেকটা একাই করেন তানবীর হায়দার।
রকিবুল হাসান (১৪), মাশরাফি বিন মর্তুজা (১২), আসিফ হাসানদের (৮) নিয়ে ছোট ছোট জুটিতে শেষ ওভারে গিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তানবীর। ৩ বলও ২ উইকেট হাতে রেখে জয় এনে দেওয়ার পথে অপরাজিত ছিলেন ৬১ বলে ২ চারে ৫১ রানে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার উপুল থারাঙ্গাকে শুরুতেই হারায় খেলাঘর। ২২ বলে ২৯ রানের ইনিংসে আক্রমণাত্মক হলেও টিকতে পারেননি হাসানুজ্জামান, বোল্ড হন মাশরাফি বলে। ৩৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর অমিত হাসানকে নিয়ে অমিত মজুমদারের ৪৪ রানের জুটি।
চিরাগ জানি ১৬ রান করা অমিত হাসানকে আউট করলে ভাঙে জুটি। চিরাগের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সালমান হোসেন ইমন ফেরেন ৯ রান করে। ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকেননি অমিত মজুমদারও।
৮৮ বলে ৮ চারে ৫৯ রান আসে তার ব্যাটে। খেলাঘর পরিণত হয় ৫ উইকেটে ১৪৪ রানে। শেষদিকে মাশরাফির তোপে বেশি দূর যেতে পারেনি দলটি। ২৫ রান করা নাদিফ চৌধুরীকে ফেরান চিরাগ।
২৪ রান করে মাসুম খান টুটুল আউট হন মাশরাফির বলে। ৪৮তম ওভারে পরপর দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক সম্ভাবনা জাগান মাশরাফি।
৪৮ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে খেলাঘরের পুঁজি ১৯৮। মাশরাফি ৪ উইকেট নেন ৩৮ রান খরচায়। চিরাগের ৩ উইকেট ৫১ রানে।