

কেশব মহারাজের স্পিন ঘূর্ণিতে দিশেহারা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে অলআউট হয়ে ডারবান টেস্ট হেরেছে ২২০ রানে। তবে টাইগারদের ব্যর্থতা ছাপিয়ে ম্যাচে আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্ব সিদ্ধান্ত বেশ আলোচনায়। ম্যাচ শেষে টাইগার কাপ্তান মুমিনুল হকতো মাঠের স্লেজিং গালাগালিতে রূপ নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।
ডারবান টেস্ট হারের দায় বাংলাদেশের ব্যাটারদেরই নিতে হবে। যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার কেশব মহারাজ ও সিমন হারমারকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ উইকেট দিয়েছে তা দৃষ্টিকটুই।
কিন্তু ফলাফল এক পাশে রেখে আগেরদিন দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসে মাঠের দুই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ছিল আরও দৃষ্টিকটু। সহজ সব এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া না দিয়ে হয়েছেন প্রশ্নবিদ্ধ। তবে এবার সেসবের সাথে যোগ হল দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডারদের স্লেজিং গালাগালিতে রূপ নেওয়া।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘স্লেজিং নিয়ে…স্লেজিং তো হয় মাঠে, এসব স্বাভাবিক। কিন্তু স্লেজিং যখন গালাগালির কাছে চলে যায় তখন খারাপ। আমার কাছে মনে হয়েছে ওরা মাঝে মাঝে গালাগালি করছিল, আম্পায়ারও বিষয়গুলো ওদেরকে পরিষ্কার করেনি।’
আগেরদিন টুইট করে সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের পুরোনো পন্থায় ফিরে যাওয়া উচিৎ আইসিসির। পরে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ও নির্বাচক হাবিবুল বাহার সুমনও সহমত পোষণ করেন।
এবার মুমিনুলও আম্প্যারিং ইস্যুতে একই পরামর্শ দিলেন, ‘আম্পায়ারিং যেটা বললেন, ওটা নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। আমি মনে করি এখন আইসিসির নিরপেক্ষ আম্পায়ারের ব্যাপারে চিন্তা করা উচিৎ। কোভিডের আগে যেমনটা ছিল আরকি, এখনতো আল্লাহর রহমতে কোভিড প্রায় ক্লিয়ার হওয়ার পথে।’
‘আমার মনে হয় আইসিসি এসব ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিৎ। নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে দেওয়া উচিত। তা নাহলে শুধু এই সিরিজে না এর আগেও অনেক সিরিজে এমন হয়েছে। আম্পায়াররা অনেক সময় ওই দেশের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। এগুলো আমরা এই সিরিজেও দেখেছি আগেও দেখেছি।’