

ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে আবাহনী ও মোহামেডান ম্যাচের উত্তেজনা নেই আগের মতো। দর্শকদের মাঝে উন্মাদনা ছিটেফোঁটাও লক্ষ্য করা যায় না। তবে ঐতিহ্যবাহী এই দুই দলের খেলা মানেই মাঠে ক্রিকেটারদের দেখা মেলে ভিন্ন রূপে। আগামীকাল (৫ এপ্রিল) চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) আবারও মুখোমুখি হচ্ছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আশাবাদী পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকা তার দল আবাহনীই জয় পাবে।
দুই দলের লড়াইয়ে উত্তেজনাটা মাঠের বাইরে বদলে গেলেও সাইফউদ্দিন বলছেন মাঠে এখনো তারা আলাদা রোমাঞ্চ নিয়েই আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে খেলতে নামেন। খেলাগুলো টিভি সম্প্রচার হলে দর্শকদের জন্য সুবিধা হত, সাথে ক্রিকেটাররাও ভালো খেলতে মুখিয়ে থাকতো বলে মত এই অলরাউন্ডারের।
লম্বা সময় ধরে ডিপিএলে শিরোপা নেই মোহামেডানের। যেখানে ভিন্ন চিত্র আবাহনীর, সর্বশেষ তিন আসরের শিরোপা ঘরে তোলার পাশাপাশি সাম্প্রতিক বছর আমলে নিলে তাদের আশেপাশেও নেই অন্য কোনো দল।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও নিয়মিত হার সঙ্গী মোহামেডানের। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া গত মৌসুমে লিগ পর্ব ও সুপার লিগ পর্ব মিলে দুইবারের দেখায় একটি করে জয় পেয়েছে দুই দলই। আগামীকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে আবাহনী-মোহামেডান।
তারকা নির্ভর দল গড়েও সুবিধাজনক অবস্থানে নেই মোহামেডান, ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৮ নম্বরে অবস্থা তাদের। শুরুটা ভালো না হলেও সর্বশেষ ৩ ম্যাচে টানা জয়ে ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে এসেছে আবাহনী।
আগামীকাল ম্যাচের আগে আজ অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন আবাহনী অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন।
তিনি জানান, ‘ আমাদের ম্যানেজার মামুন ভাই ও কোচ সুজন ভাইয়ের কাছ থেকে শুনতাম আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের উত্তেজনা সম্পর্কে। আবাহনী মাঠে যখন খেলা হত ম্যাচগুলো অনেক উত্তেজনাপূর্ণ হত, দর্শকের মাঝে উন্মাদনা কাজ করতো। কিন্তু এখন এ জিনিসগুলো নেই।’
‘যদিও ম্যাচে আপনারা যদি খেয়াল করেন, বাড়তি উত্তেজনা থাকে। গত বছর লিগ পর্বে আমরা হেরেছি আবার সুপার লিগের আমরা হারিয়েছি। সবগুলো ম্যাচে উত্তেজনা ছিল। হয়তো বাইরে দর্শকদের উত্তেজনা না থাকলেও মাঠে আমাদের উত্তেজনা একই রকম আছে।’
‘অবশ্যই আমরা জেতার জন্য খেলবো। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ উত্তেজনাপূর্ণ হয়। আমরা অবশ্য বরাবরই এগিয়ে আছি মোহামেডানের চেয়ে, তো এতা আমাদের জন্য বাড়তি কোনো চাপ না। নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে ইন শা আল্লাহ আমরা আগামীকাল জয় পাবো।’
টিভি সম্প্রচার বাড়তি মাত্রা যোগ করতো উল্লেখ করে এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘অবশ্যই টিভিতে দেখালে আমাদের খেলোয়ারদের জন্য বাড়তি এক্সাইটমেন্ট কাজ করতো। ভালো খেলার, ভালো কিছু করার ইচ্ছে বেশি থাকতো। যেটা গতবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ডিপিএলে দেখা গেছে।’
‘তারপরও সব খেলোয়াড়ই চেষ্টা করে নিজের জায়গা থেকে ভালো কিছু করার। তো এটা খুব বেশি ম্যাটার করে না কিন্তু দেখালে অবশ্যই ভালো হত।’