বিজয়ের আরও এক দারুণ ইনিংসের দিনে হারলো হাফিজ-রিয়াদদের মোহামেডান

বিজয়ের আরও এক দারুণ ইনিংসের দিনে হারলো হাফিজ-রিয়াদদের মোহামেডান
Vinkmag ad

এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ছুটছে রান ফোয়ারা, তার দলের অবস্থাও দুর্দান্ত। অন্যদিকে তারকা নির্ভর দল গড়ে চমকে দেওয়া মোহামেডান যেন ছন্দই খুঁজে পাচ্ছে না। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) প্রাইম ব্যাংক আজ হারিয়ে দিল মোহামেডানকে। ১২৭ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে প্রাইম ব্যাংক পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থান পোক্ত করলো আরও।

৭ ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের ৬ জয়ের বিপরীতে মোহামেডান ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে আছে পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম অবস্থানে।

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাব মাঠে আগে ব্যাট করা প্রাইম ব্যাংক বিজয়ের ৯৪ রানের সাথে মোহাম্মদ মিঠুনের ৬০ রানে অলআউট হওয়ার আগে ৩১২ রানের পুঁজি পায়। মোহামেডানের হয়ে বল হাতে ৪ উইকেট নেন ব্যাট হাতে সময়টা খারাপ যাওয়া সৌম্য সরকার।

যা তাড়া করতে নেমে ১৮৫ রানেই গুটিয়ে গেছে মোহামেডান, ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানি তারকা মোহাম্মদ হাফিজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকাররা। বল হাতে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে স্পিন ভেল্কি দেখান বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বিপাকে মোহামেডান। উদ্বোধনী জুটিতে আসেনি ১৪ রানের বেশি। হাফিজ (১৭), সৌম্য (৩) সহ ৪৫ রানেই হারায় ৩ উইকেট।

সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাহিদুজ্জামান খানের ৫১ রানের জুটি। রাকিবুল হাসানের করা ১৯তম ওভারে ফিরে যান দুজনেই। রিয়াদ ৩৪ ও জাহিদুজ্জামান ২৬ রান করেন।

রাকিবুলের সাথে নাসির হোসেন, শেখ মেহেদী ও অলক কপালি উইকেট শিকারে যোগ দিলে আর দাঁড়াতেই পারেনি মোহামেডান ব্যাটাররা। স্রোতের বিপরীতে কেবল যুব বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি হাঁকানো আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন রান। তবে তার ৬৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংসের পরও ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান।

প্রাইম ব্যাংকের হয়ে রাকিবুল ৪০ রানে নেন ৪ উইকেট, ২ টি করে উইকেট শিকার শেখ মেহেদী ও রবিউল হকের। ১ টি করে নাসির ও কপালির ভাগে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও শাহদাত হোসেন দিপু ৬.১ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলে ৫১ রান। ২২ বলে ৩৫ রান করে দিপু আউট হলে ভাঙে জুটি। দিপুর পর দ্রুত ফেরেন ভারতীয় ব্যাটার অভিমন্যু ইশ্বরানও (৯)।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by cricket97 (@cricket97bd)

তবে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে বিজয়ের ১৩১ রানের জুটি। ৪৬ বলে ফিফটী তুলে বিজয় ছুটছিলেন লিগে লিগে নিজের তৃতীয় শতকের দিকে। কিন্তু নার্ভাস নাইনটিজে আউট হয়ে পুড়েছেন আক্ষেপে। শুভাগত হোমের বলে রনি তালুকদারকে ক্যাচ দেওয়ার আগে নামের পাশে ৯৪ বলে ৯ চার ৪ ছক্কায় ৯৪ রান।

বিজয়ের গড়ে দেওয়া ভীত কাজে লাগিয়ে এরপর বড় সংগ্রহই পায় প্রাইম ব্যাংক। বিজয়ের পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকেননি মিঠুনও। ৬১ বলে ফিফটি ছুঁয়ে আউট হন ৭৪ বলে ৬০ রান করে।

সেখান থেকে নাসিরের ৩৮ , শামসুর রহমান শুভর ২৭ ও শেখ মেহেদী হাসানের ২৫ রানে ভর করে ৩১২ রানের পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক। ইনিংসের শেষদিকে মোহামেডানের হয়ে সৌম্য সরকার বল হাতে জ্বলে না উঠলে রান হতে পারতো আরও বেশি। প্রাইম ব্যাংককে অলআউট করার পথে ৫৪ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

সাকিবের ‘৫’, বিহারির সেঞ্চুরিতে আবাহনীর সহজ জয়

Read Next

জয়ে মোড়ানো দিনের শেষটা হল বৃষ্টিতে

Total
0
Share