

ডারবানের কিংসমিডে চলছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ১ম টেস্টের ৩য় দিনের খেলা। এই টেস্টের খুটিনাটি আপডেট এই লাইভ রিপোর্টে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (৩য় দিন শেষে):
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংসে ৩৬৭/১০ (১২১), এলগার ৬৭, এরউই ৪১, পিটারসেন ১৯, বাভুমা ৯৩, রিকেলটন ২১, ভেরেনে ২৮, মুলডার ০, মহারাজ ১৯, হারমার ৩৮*, উইলিয়ামস ১২, অলিভিয়ার ১২; এবাদত ২৯-১০-৮৬-২, খালেদ ২৫-৩-৯২-৪, মিরাজ ৪০-৮-৯৪-৩
বাংলাদেশ ১ম ইনিংসে ২৯৮/১০ (১১৫.৫), জয় ১৩৭, সাদমান ৯, শান্ত ৩৮, মুমিনুল ০, মুশফিক ৭, তাসকিন ১, লিটন ৪১, রাব্বি ২২, মিরাজ ২৯, খালেদ ০, এবাদত ০*; অলিভিয়ার ১৫-৫-৩৬-১, উইলিয়ামস ১৮.৫-৩-৫৪-৩, হারমার ৪০-১২-১০৩-৪, মুলডার ৪-১-২৩-১
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংসে ৬/০ (৪), এরউই ৩*, এলগার ৩*
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংসে ৭৫ রানে এগিয়ে।
মুগ্ধতা ছড়ালেন জয়ঃ
নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। ১১৬ তম ওভারের ৫ম বলে যখন শেষ ব্যাটার হিসাবে আউট হলেন দলের রান তখন ২৯৮। নিজের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৩৭ রান। খুব সহজে অবশ্য মাহমুদুল হাসান জয় এই রান করেননি। উইকেটে ছিলেন ৪৪২ মিনিট, বল খেলেছেন ৩২৬ টি!
সাদমানের সঙ্গে ২৫, শান্তর সঙ্গে ৫৫, মুমিনুলের সঙ্গে ০, মুশফিকের সঙ্গে ১৪, তাসকিনের সঙ্গে ৭, লিটনের সঙ্গে ৮২, রাব্বির সঙ্গে ৩৩, মিরাজের সঙ্গে ৫১, খালেদের সঙ্গে ২৭ ও এবাদত হোসেনের সঙ্গে ৪ রানের জুটি। বলা চলে বাংলাদেশ দলের ইনিংসকে একা হাতে টেনেছেন জয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য ১ম ইনিংসে পেয়েছে ৬৯ রানের লিড।
View this post on Instagram
মারমুখী জয়, ফিরলেন খালেদঃ
খালেদ আহমেদের সঙ্গে ৯ম উইকেট জুটিতে ২৭ রান যোগ করেন মাহমুদুল হাসান জয়। যেখানে খালেদের অবদান ০। ১২ বলে ২৭ রান জয়ের। ডুয়ানে অলিভিয়ারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খালেদ।
ফিরলেন মিরাজঃ
দলকে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের চেয়ে ঠিক ১০০ কম রেখে সাজঘরে ফিরলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৮১ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ২৯ রান আসে মিরাজের ব্যাটে। মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে জুটিতে মিরাজ যোগ করেন ৫১ রান, যা স্থায়ী ছিল ১৪৪ বল।
জয়-মিরাজ জুটিতে বাংলাদেশের প্রতিরোধঃ
৮৯ তম ওভারের ১ম বলে সাজঘরে ফিরেছিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি। এরপর চা বিরতির আগ অব্দি আরও ১৮.৫ ওভার খেলা হয়েছে। যেখানে কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি পুর্ণ করা মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে ৪১ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে চা বিরতিতে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫৭ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার ১ম ইনিংসের রানের চেয়ে এখনও ১১০ রান পিছিয়ে সফরকারীরা।
২৯৫ বলে ১০৬ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছেন জয়, মেহেদী হাসান মিরাজ ৬৫ বলে ২৪* রান করে।
বাংলাদেশের পক্ষে জয়ের প্রথম সেঞ্চুরিঃ
বাংলাদেশ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা- কোন জায়গাতেই আজকের আগে বাংলাদেশের কোন ব্যাটারের টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এই আক্ষেপ দূর করলেন মাহমুদুল হাসান জয়।
২৬৯ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে উদযাপনে মাতেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য জয়।
View this post on Instagram
রান আউটে কাটা পড়লেন রাব্বিঃ
লাঞ্চের পরপরই লিটন দাস ফিরলে মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি। নতুন বলে পেসারদের বিপক্ষে সাবলীলই দেখাচ্ছিল রাব্বিকে। তবে এক ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ৩৭ বলে ২ চারে ২২ রান করেন রাব্বি। ভাঙে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩ রানের জুটি।
লাঞ্চের পরেই ফিরলেন লিটনঃ
এই লিজাদ উইলিয়ামসের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন লিটন দাস। ডিন এলগার ক্যাচ মিস করেছিলেন। লাঞ্চ বিরতির পর আর অন্যের ভরসায় থাকলেন না উইলিয়ামস। লিটন দাসকে ফেরালেন বোল্ড করে। লাঞ্চের পর আর কোন রান না করেই সাজঘরে লিটন, ৮২ রানেই থেমেছে লিটন-জয় জুটি।
লিটন-জয় জুটিতে বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার লড়াইঃ
১০১ রানেই নেই ৫ উইকেট। ফলো অনের শঙ্কাও ছিল বাংলাদেশ দলের। তবে মাহমুদুল হাসান জয় ও লিটন দাসের অবিচ্ছেদ্য ৮২ রানের জুটিতে স্বস্তি নিয়ে লাঞ্চ ব্রেকে গেছে সফরকারীরা। ফলো অনের শঙ্কা এড়ালেও বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে ১৮৪ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস মাহমুদুল হাসান জয়ের (৮০*), ছাড়িয়েছেন মুমিনুল হকের ৭৭ কে। ফিফটির পথে আছেন লিটন দাস। ৪১ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি।
জয়ের ফিফটিঃ
মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে করেছিলেন ০ ও ৬ রান। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে অবশ্য নিজের জাত চেনান। ২২৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও নিজের ফর্ম ধরে রেখেছেন জয়, ইতোমধ্যে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৩* ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি জয়ের ২য় ফিফটি।
লিটনের ক্যাচ ছাড়লেন এলগারঃ
৫৮ তম ওভারের ১ম বল। বাংলাদেশের রান তখন ৫ উইকেটে ১২১, লিটন দাস ব্যাট করছিলেন ১৬ রান নিয়ে। লিজাদ উইলিয়ামসের অফসাইডের বাইরে করা বলে রেগুলেশন আউটসাইড এইজ। প্রথম স্লিপে থাকা ডিন এলগারের জন্য এটা হওয়ার কথা সহজতম সুযোগ। তবে এলগার লোপ্পা ক্যাচ ধরতে পারেননি। জীবন পান লিটন।
শুরুতেই ফিরলেন তাসকিনঃ
আগের দিন নাইট ওয়াচম্যান হিসাবে নামা তাসকিন আহমেদ আজ ১ রানের বেশি করতে পারেননি। অভিষিক্ত লিজাদ উইলিয়ামসের প্রথম টেস্ট উইকেট হয়ে তাসকিন ফেরেন দিনের ৩য় ওভারের ১ম বলেই। ১০১ রানে নেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (২য় দিন শেষে):
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৬৭/১০ (১২১), এলগার ৬৭, এরউই ৪১, পিটারসেন ১৯, বাভুমা ৯৩, রিকেলটন ২১, ভেরেনে ২৮, মুলডার ০, মহারাজ ১৯, হারমার ৩৮*, উইলিয়ামস ১২, অলিভিয়ার ১২; এবাদত ২৯-১০-৮৬-২, খালেদ ২৫-৩-৯২-৪, মিরাজ ৪০-৮-৯৪-৩
বাংলাদেশ ৯৮/৪ (৪৯), জয় ৪৪*, সাদমান ৯, শান্ত ৩৮, মুমিনুল ০, মুশফিক ৭, তাসকিন ০*; হারমার ২০-৭-৪২-৪।
বাংলাদেশ ২৬৯ রানে পিছিয়ে।