

ঘরের মাঠে দুর্দান্ত মেহেদী হাসান মিরাজ বিদেশের মাটিতে ছিলেন বিবর্ণ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভিন্ন এক মিরাজের দেখা মিলেছে। ঘরে-বাইরে পারফর্ম করছেন সমান তালে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবান টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানালেন কীভাবে নিজেকে বদলেছেন।
তার মতে মানসিকতার বদলেই এসেছে সাফল্য। মানসিকভাবে শক্ত থাকার পাশপাশি, সঠিক লেংথে বল করেই সফল হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করেছেন কোচ সোহেল ইসলাম ও রঙ্গনা হেরাথ।
চলতি ম্যাচ সহ বিদেশের মাটিতে মিরাজ খেলেছেন ১৭তম টেস্ট। ঘরের মাঠে ১৫ ম্যাচে ৭৩ উইকেট নেওয়া মিরাজের ঘরের বাইরে উইকেট সংখ্যা ৫০ এর নিচে। তবে সর্বশেষ কয়েকটি ম্যাচে পরিসংখ্যান সমৃদ্ধই বলতে হয়।
মিরাজ বলছেন ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা সফর থেকে নিজের পরিবর্তন এনেছেন। দেশের বাইরে উন্নতি করতে কাজ করেছেন দেশের অন্যতম সফল কোচ সোহেল ইসলামের সাথে। পরবর্তীতে জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে আসা রঙ্গনা হেরাথ করেছেন সাহায্য।
এই অলরাউন্ডারের কথার প্রমাণ মিলে পরিসংখ্যানে চোখ বুলালে। গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরের আগে দেশের বাইরে ১৭ ইনিংস বল করে উইকেট নিয়েছেন ২৯ টি। তবে শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ৯ ইনিংসে বল করেই উইকেট নিয়েছেন ২০টি।
যেখানে চলতি ডারবান টেস্টে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ ওভার বল করেছেন। প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৭ রানে আটকে দেওয়ার পথে উইকেট নিয়েছেন ৩ টি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬৭ এর জবাবে অবশ্য সুবিধাজনক অবস্থানে নেই বাংলাদেশ, দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৯৮ রান তুলে। সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ কথা বলেছেন তার বিদেশে ভালো করা প্রসঙ্গেও।
তার ভাষ্য, ‘দেশে অনেক সাহায্য থাকে স্পিনারদের। বাইরের দেশে তেমন সাহায্য পাবেন না। আমি মানসিকভাবে নিজেকে অনেক অনুপ্রাণিত করছি। বিশেষ করে বাইরের দেশে খেলতে গেলে মানসিকভাবে অনেক শক্ত হতে হয়। আমি উইকেটের চেয়ে যদি ভালো লাইন লেংথ ধৈর্য সহকারে বল করতে থাকি, তাহলে হয়তো সুযোগ আসবে। আমি কোচের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলেছি।’
‘এটা শুরু করেছিলাম শ্রীলঙ্কা থেকে, তখন আমাদের কোচ ছিলেন সোহেল স্যার। তখন থেকেই দেশের বাইরে কীভাবে ভালো করা যায় এ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হেরাথ। তিনি তো অভিজ্ঞ। তিনি আমাদেরকে নিয়ে অনেক কাজ করছে। সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে মানসিক বিষয়টি। যদি মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়া যায় তাহলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।’