

বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের চোটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবান টেস্টের একাদশে সুযোগ মেলে খালেদ আহমেদের। বাংলাদেশের জার্সিতে এর আগে খেলেছেন মাত্র ৩ টেস্ট। তবে চলতি টেস্টে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর মন ভালোভাবেই কেড়েছেন এই ডানহাতি। খালেদে মুগ্ধ কোচ বলছেন বাংলাদেশের হয়ে অনেক টেস্ট খেলবে খালেদ।
২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক খালেদের। মিরপুরে দুই ইনিংসে ৩০ ওভার বল করে ঐ ম্যাচে উইকেট শূন্য ছিলেন। পরের বছর নিউজিল্যান্ডে হ্যামিল্টন টেস্টে সুযোগ পান, এক ইনিংসেই করেছেন ৩০ ওভার, ১৪৯ রান খরচায় ছিলেন উইকেট শূন্য।
এরপর চোটের কারণে লম্বা সময় দূরে, ফিরেছেন গত বছর ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে, বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে হারা ম্যাচে এক ইনিংসে বল করার সুযোগ পান। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট উইকেটটি নিশ্চিতভাবেই স্বরণীয় হয়ে থাকবে, তুলে নেন প্রতিপক্ষ কাপ্তান বাবর আজমের উইকেট।
৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে শিকার মাত্র ১ উইকেট, বাংলাদেশ দলের টেস্ট সেটাপে ভালোভাবেই আছেন। তবে ব্যাকাপ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে প্রথম ম্যাচেই সুযোগ পাবেন এমনটা ছিল অপ্রত্যাশিত। পরে শরিফুলের চোটে জায়গা পেয়ে যান একাদশে।
কিন্তু পেসারদের জন্য দিনের পর দিন স্বর্গ হয়ে ধরা দেওয়া ডারবানের কিংসমিডের উইকেট প্রথম দিন ছিল পেসারদের জন্য বিরুদ্ধ। যা অবাক করেছে দুই দলের ক্রিকেটারদের। ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি স্পেলে বল করা খালেদের হাত ধরেই আসে বাংলাদেশের প্রথম ব্রেক থ্রু। ১২.৫ ওভার বল করে ৪৯ রান খরচায় ঐ ১ উইকেট নিয়েই দিন শেষ করেন।
তবে ফিরিয়েছেন ভয়ঙ্কর হওয়ার পথে ছুটতে থাকা প্রতিপক্ষ কাপ্তান ডিন এলগারকে। সারেল এরউইয়ের সাথে ১১৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে যখন বাংলাদেশকে রানের পাহাড়ে চাপা দেওয়ার আভাস দিচ্ছেন তখনই খালেদের বলে ৬৭ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন এলগার। সেখান থেকেই দ্রুত আরও ৩ উইকেট তুলে ম্যাচে ফেরে টাইগাররা।
খালেদ আর কোনো উইকেট না পেলেও গতি দিয়ে মন কেড়েছেন, সাথে বৈচিত্রের মিশেলে কয়েকবার ব্যাটারদের পরাস্তও করেন। অনভিজ্ঞ খালেদ দারুণভাবেই মজেছেন ডোমিঙ্গো।
প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘শরিফুল কিছু ছোট খাটো চোটে ভুগছে। আমরা এমন কাউকে নিয়ে চার বোলারের বোলিং আক্রমণে ঝুঁকি নিতে চাইনি। আমি খুবই উপভোগ করেছি খালেদ যা করেছে তাতে। সে দারুণ করেছে, একটা বল ১৪৪ কিলোমিটার বেগে ছুঁড়েছে। সে খুবই অনভিজ্ঞ কিন্তু তার অ্যাটিটিউড চমৎকার। গতি ও নিয়ন্ত্রণের দিক থেকে সে অসাধারণ। আমি দেখতে চাই সে বাংলাদেশের হয়ে অনেক টেস্ট খেলুক।’