

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ব্যর্থ হওয়ার পরই জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে এরপরই নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস গড়ে সে আলোচনা আপাতত আড়ালে। টানা তৃতীয় মেয়াদে কাজ করতে থাকা কাজ করছে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর নির্বাচক প্যানেল। নান্নু বলছেন তাদের অধীনে দেশের ক্রিকেটের গ্রাফ উপরের দিকেই যাচ্ছে।
২০১৬ সাল থেকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। ২০১৯ সালে বেড়েছিল দ্বিতীয় মেয়াদ, যা শেষ হয় গত বছর ডিসেম্বরে। তবে মাঝে বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরও হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে গড়া নান্নুর নির্বাচক প্যানেল কাজ করে যাচ্ছে।
লম্বা সময় কাজ করা বর্তমান নির্বাচক প্যানেলের অধীনে কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্যও অবশ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল, ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো বহুজাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তোলা, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেসয় জয়।
তবে নান্নু-বাশারদের অধীনে বড় সাফল্য ধরা দিয়েছে আরও। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর যখন তাদের সরানোর জোর দাবি তখনই এলো বিদেশের মাটিতে ঐতিহাসিক কিছু সাফল্য। চলতি বছর জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়।
যেকোনো ফরম্যাটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে যা একমাত্র জয় বাংলাদেশের। এরপর চলতি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় এলো ওয়ানডে সিরিজ জয়, অথচ এর আগে কোনো ফরম্যাটেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জেতেনি বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে সেরা সময় কাটানো নির্বাচক প্যানেল নিজেদের সাফল্যের হার ভালো বলেই দাবি করছেন। আজ (৩০ মার্চ) বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাব মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রধান নির্বাচক নান্নু।
তিনি জানান, ‘আপনি দেখেন ২০১৯ সালে আমাদের একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতা আছে। কিছু কিছু জায়গা আছে, ইংল্যান্ডের সাথে টেস্ট ম্যাচ জেতা বিরাট জিনিস। অস্ট্রেলিয়ার সাথে টেস্ট ম্যাচ জেতা অনেক বড় অর্জন। এরপর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জেতা, দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জেতা। ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল সময়কালে ঘরের মাঠে আমরা কতগুলো ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি, এতগুলো অর্জন কিন্তু একসাথে এসেছে।’
‘কোনোটাকে আপনি খাটো করে দেখতে পারবেন না। ২০২২ সাল পর্যন্ত আমাদের নির্বাচক প্যানেলের অধীনে সাফল্যের হার ভালো, শুধু ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ছাড়া। অন্যগুলোতো বেশ সফল, ক্রিকেটের গ্রাফটাও উপরের দিকে যাচ্ছে। আশা করি আগামী ২-৩ বছরে মধ্যে আরও ভালো কিছু দেখতে পারবেন।’