

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলছেন এখনই সময় বাংলাদেশ দলের বিশ্বাস করার যে তারা বিশ্বকাপ জিততে পারে। এবার টাইগাদের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও সেরকমটাই জানালেন। এক ধাপ এগিয়ে মাশরাফিতো ২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনাও দেখেন, তার মতে অন্তত সেমি ফাইনাল খেলবে তামিম-সাকিবরা।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ বরাবরই দারুণ, গত কয়েক বছরে সেটা উন্নত হয়েছে আরও। তবে বিশ্বমঞ্চে দুর্দান্ত কিছুর আক্ষেপ রয়ে গেছে এখনো। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলাই যে সেরা অর্জন। সেবার নেতৃত্ব দেওয়া মাশরাফি বলছেন ২০২৩ বিশ্বকাপে অসাধারণ কিছু করার সামর্থ্য রাখে টাইগাররা। যদিও ভাগ্যে বিশ্বাসী মাশরাফি ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিচ্ছেন অনেক কিছু।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে উড়ছে বাংলাদেশ। চারদিকে প্রশংসার ফুলঝুরি, কেউ কেউ বলছেন পরবর্তী ধাপে যাওয়ার শুরুটা বোধহয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে করলো বাংলাদেশ। আজ (২৭ মার্চ) মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে মাশরাফি যেমন জানালেন তার বিশ্বাস টাইগার ক্রিকেটাররা আগামী বিশ্বকাপের আগে ফর্মে থাকলে, সুস্থ থাকলে দারুণ কিছু হতে পারে।
তার মতে, ‘বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ভাগ্যের প্রয়োজন। বিশ্বকাপ শুধু ভালো খেললেই হয় না। আমার যতটুকু মনে পড়ে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর বলেছিলাম এই দলটা সম্ভাব্য সবকিছুই আছে বিশ্বকাপ জেতার মতো। কিন্তু অবশ্যই ঐ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের ফিট থাকতে হবে, আরও দেড় বছর বাকি। টুর্নামেন্টের আগে অনেক ম্যাচ আছে, সিরিজ আছে সেগুলো ভালোভাবে শেষ করা…।’
‘গুরুত্বপূর্ণ হল ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপের আগে ফর্মে থাকা, সুস্থ থাকা, দিন শেষে আপনি সেমি ফাইনাল পর্যন্ত উঠবে এই দল আমি যেটা বলেছিলাম আমার বিশ্বাস। বিশেষ করে ভারতে খেলা যেহেতু ২০২৩ বিশ্বকাপ। কিন্তু শুধু ভালো খেললেই হবে না, ভাগ্যেরও ব্যাপার আছে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।’
সাম্প্রতিক সময়ে ভালো খেললেও বিশ্বকাপের বাকি আরও দেড় বছর। ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বলেই ২০২৩ বিশ্বকাপ নিয়ে মাশরাফির প্রত্যাশা বেশি। টাইগারদের অন্যতম সফল এই পেসার ও অধিনায়ক মনে করেন তার আগে যত সিরিজ আছে সেগুলোতেও বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা থাকবে।
তিনি বলেন, ‘উন্নতির তো শেষ নাই। একটা দল যখন ভালো খেলা শুরু করে তার দুর্বল জায়গাও থাকে। এই জায়গাগুলো যত কম করবে তত সুবিধা হবে বড় বড় টুর্নামেন্টে। আর এই ওয়ানডে দলটা ২০১৫ সাল থেকেই ভালো খেলছে। একটা ছন্দ কিন্তু এসে গেছে, মস্তিষ্কে ভালো কিছু কাজ করে যখন ওয়ানডে খেলতে নামে।’
‘আমার কাছে মনে হয় যে খুব ভালো সুযোগ, সম্প্রতি কিংবা সামনে যত সিরিজ আছে দ্বিপাক্ষিক এবং সেই সাথে বিশ্বকাপ। এই ফরম্যাটটাই আশাবাদী হওয়ার মতো ফরম্যাট আমাদের জন্য। কারণ দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই ফরম্যাট খেলছি।’
আশাবাদী হতে যুক্তি লাগে, বাস্তবিক ব্যাখ্যা লাগে। মাশরাফি দিয়েছেন সেসবও। অভিজ্ঞ চার সিনিয়র ক্রিকেটারের সাথে তরুণদের কথা উল্লেখ করলেন সাবেক এই অধিনায়ক। যেখানে তামিম, সাকিব, রিয়াদ, মুশফিক ছাড়াও মাশরাফির বাজি লিটন, তাসকিন, আফিফ, ইয়াসির ও শরিফুলদের নিয়ে।
‘চারজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে যারা ১২/১৩/১৪-১৫ বছর…চারজনের অভিজ্ঞতা মেলালেই প্রায় ৬০ বছর। তাদের সাথে লিটন, তাসকিন এদেরও কিন্তু ৭/৮ বছর হয়ে যাচ্ছে। ৭/৮ বছর মানে এদের এখন পারফর্ম করার সময় এবং করছেও। আপনি যদি তরুণদের দিকেও তাকান আফিফ, ইয়াসির আলি, শরিফুল তিনজনই কিন্তু দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। এটা কিন্তু সব পজিটিভ সাইন একটা দলের জন্য, বিশেষ করে এই ফরম্যাটে।’