

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজ যেকোনো দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজ জিতে ফুরফুরে মেজাজে থাকা বাংলাদেশ দল আশাবাদী। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয়ের পর আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া বেড়েছে বহু গুণ। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলছেন এখন তারা ভালো দল। সব বিভাগেই প্রতিপক্ষকে চোখে চোখ রেখে জবাব দেওয়ার সামর্থ্য তাদের আছে।
৩১ মার্চ ডারবানে শুরু হচ্ছে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। নিজেদের ঝালিয়ে নিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এর আগে ৩ দফা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ, ৬ ম্যাচের সবকটিতেই হার, যেখানে ৫ ম্যাচে পড়তে হয়েছে ইনিংস পরাজয়ের লজ্জায়।
এবারের আগে কোনো ফরম্যাটেই ছিল না জয়। সে গেরো কেটেছে এবারের সফরে, গেরো কাটিয়ে ২-১ ব্যবধানে প্রথমবারের মতো সিরিজও জিতে নিয়েছে টাইগাররা।
এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হচ্ছে টেস্ট দলও। যদিও চলতি বছর জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জিতে নিজেদের আত্মবিশ্বাসী হওয়ার পথটা নিজেরাই তৈরি করেছে সাদা পোশাকের বাংলাদেশ দল।
আজ (২৬ মার্চ) অনুশীলনের ফাঁকে টিম ডিরেক্টর সুজন যেমন সাংবাদিকদের বললেন তারা এখন ভালো দল, ‘কন্ডিশন স্বাগতিকদের পরিচিত। সহজ কিছু হবে না আমরা জানি। টেস্ট সিরিজ অনেক কঠিন হবে। তারপরও আমরা মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।’
‘আগে আমরা ভালো ছিলাম না, এখন তো আমরা ভালো দল। আমাদের সেই বোলিং অ্যাটাক আছে, ব্যাটাররা আছে। এই কন্ডিশনে ভালো করতে পারি সেই বিশ্বাসটা থাকতে হবে। কন্ডিশন বাংলাদেশ থেকে খুব ভিন্ন এমন না, গরম আছে। উইকেট কেমন হবে বলতে পারছি না এখনও।’
বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে বাউন্সি উইকেট তৈরি করলে স্বাগতিকদের জন্যও সমস্যা হবে বলে মনে করেন সুজন। কারণ তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেনরাও যে ১৪০ এর আশেপাশে গতিতে নিয়মিত বল করতে পারেন।
সুজনের যুক্তি, ‘বিগত বছরগুলোতে এই উইকেটে তেমন পেস ছিল না। তবে আমাদের বিপক্ষে ওরা বাউন্স আর পেস দিতেও পারে। আমরা এটা মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। যেটা আমাদের জন্য সমস্যা, এটা ওদের জন্যও সমস্যা। কারণ আমাদেরও এখন ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে এমন বোলার আছে।’
‘তাই উইকেট নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত না। আমাদের প্রক্রিয়া ঠিক রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডেতে প্রক্রিয়া, পরিকল্পনা ভালো ছিল বলেই সিরিজ জিতেছি। এটা টেস্টেও দেখতে চাই।’
এদিকে প্রায় এক বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছেন তামিম ইকবাল। তার দলে ফেরাতে ওপেনিং তথা টপ অর্ডার নিয়ে স্বস্তির আভাস টাইগার টিম ডিরেক্টরের কণ্ঠে।
তার মতে, ‘তামিমের ফেরা অনেক বড় ব্যাপার। এরকম অভিজ্ঞ ও সিনিয়র খেলোয়াড় দলে থাকা সবসময়ই ভালো। তামিম রান করলে আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। আমি আশা করি তামিম ওর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা অন্যদের চেয়ে মুশফিক-তামিমেরই বেশি।’