

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক এবং সাবেক বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুসের সাথে কাজ করার আগ্রহ বোধ করেননি, এমন তথ্য দিয়েছেন মিসবাহ উল হক।
ভয়েস অফ আমেরিকাকে সাক্ষাতকারে মিসবাহ তখনকার সময়ে তার কোচিং পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ড সফরের আগে প্রধান কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
‘আগের ম্যানেজমেন্টের অধীনে আমরা একসাথে কাজ করেছিলাম, যেখানে আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল। রমিজ ভাই আসার পর তিনি তার মত কাজ শুরু করলেন। তিনি আমাদের সাথে কাজ করতে চাননি। তাই আমরা ভেবেছিলাম পদত্যাগ করবো,’ বলেন মিসবাহ।
‘আমার মতে, রমিজ ভাই ক্রিকেটারদের সমস্যাগুলো জানেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে ওয়াকিবহাল আছেন। পিসিবির অফিসে তার থেকে ভালো কাউকে আমরা আশা করি না।’
‘পিচ থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের অর্থনৈতিক অবস্থা, সবকিছু ভালো নজরে রাখতেন ও এ বিষয়ে তিনি এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। অনেক বছর ধরে তিনি ধারাভাষ্য দিয়ে আসছেন। এক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনে এটি বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখছে তার জন্য।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পিচ নিয়ে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে পিসিবিকে। ৩য় টেস্টের জন্য অবশ্য আইসিসির পিচ কিউরেটরের সেবা নিয়েছিলেন বলে ঘোষণা দেন রমিজ রাজা।
‘গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের পিচ একই রকম রয়েছে। আমাদের মতে পিচের সাথে আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল। কিন্তু এটি নতুন নয়,’ জানান মিসবাহ।
‘পিন্ডি স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিং বা পেসারদের জন্য উপযোগী করা যায়, এখানে স্পিনে সুবিধা পাওয়া যায় না। করাচিতে আমি ফলাফল আশা করেছিলাম। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া দারুণ ব্যাটিং করেছিল। তবে পাকিস্তান ৪র্থ ইনিংসে দুর্দান্তভাবে কামব্যাক করে টেস্ট ড্র আদায় করে নিয়েছে।’
‘স্বাগতিকরা দেশগুলো তাদের পিচের শক্তি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে থাকে ও ক্রিকেটাররা তাদের নিজেদের পর্যাপ্ত সুবিধাগুলো পায়। প্রতিটি দেশই এভাবেই করে,’ বলেন মিসবাহ।