

পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ বলে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওয়ানডে সিরিজ শেষেই দেশে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে জানালেন যেকোনো প্রথমের মতো প্রোটিয়া মুল্লুকে সিরিজ জয়ে ভালো লাগছে।
তবে টেস্ট সিরিজটি কঠিন হতে পারে বলেও দিলেন আভাস। যদিও প্রোটিয়াদের মূল কয়েকজন ক্রিকেটার আইপিএলের কারণে টেস্ট সিরিজে না থাকাটা আশাবাদী করছে সাকিবকে।
সন্তান, স্ত্রী, মা-শাশুড়ি সহ পরিবারের পাঁচ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি। সুযোগ থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করে দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে ফেরেননি দেশে। মূলত অলিখিত ফাইনাল হয়ে পড়া শেষ ওয়ানডে খেলতেই এমন ত্যাগ স্বীকার।
সাকিব অবশ্য ইতিহাস গড়া ম্যাচ জিতে, সিরিজ নিশ্চিত করেই ফিরলেন দেশে। গতকাল মাঠ থেকে সরাসরি বিমানবন্দর, আজ (২৪ মার্চ) রাতে পৌঁছালেন দেশে। বিমান থেকে নেমেই কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সাথে।
ওয়ানডে সিরিজ জয় নিয়ে তিনি জানান, ‘খুবই ভালো লাগছে অন্যান্য সবার মতোই প্রথমবার যেকোনো কিছু হলেই ভালো। দেশের বাইরে এ রকম যেখানে কন্ডিশন আমাদের অনুকূলে না সেখানে আমরা সিরিজ জিততে পেরেছি সেটা তো অবশ্যই আমাদের জন্য একটা ভালো একটা ব্যাপার।’
সাম্প্রতিক সময়ে সিনিয়রদের সাথে দলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে শুরু করেছে জুনিয়ররা। নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয় থেকেই পেসাররা দেখাচ্ছেন দাপট। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজে দেখা মিলেছে সম্মিলিত প্রচেষ্টার। এমন কিছু স্বস্তির বলছেন সাকিব।
‘বাংলাদেশ দলের সবাই পারফর্ম করছে, এটি স্বস্তির ব্যাপার। আমাদের পেসাররা বেশ কিছুদিন ধরেই ভালো করছে, নিউজিল্যান্ডেও এ কারণে টেস্ট জিততে পেরেছিলাম। পেসারদের প্রতি অনেক আস্থা আছে দলের, সেটির প্রতিদান দিচ্ছে তারা।’
এদিকে ৩১ মার্চ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। প্রথম ম্যাচে সাকিবকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বুঝে যেতে পারেন দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে।
এমনিতে টেস্ট সিরিজ কঠিন হওয়ার কথা। তবে ওয়ানডে সিরিজ জিতে উড়তে থাকা বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে আইপিএলের কারণে থাকছেন না বেশ কয়েকজন মূল খেলোয়াড় যা আশাবাদী করছে সাকিবকে।
‘টেস্ট বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। ৫-৭ বছর ধরেই ওয়ানডেতে ভালো দল আমরা, সবাই জানি। ওয়ানডেতে ট্রু উইকেট থাকে। যারা ভাল করবে, তাদেরই সম্ভাবনা। টেস্টে কন্ডিশনের সুবিধা বেশি পায়। তবে ওদের কয়েকজন মেইন প্লেয়ার যেহেতু খেলছে না, আমরা আশাবাদী হতেই পারি।’